দেশের পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অভ্যন্তরে চলমান অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

সেই সঙ্গে এ উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির দ্রুত ও সুষ্ঠভাবে সমাধানের লক্ষে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

আরো পড়ুন:

অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করব না: বিএসইসির চেয়ারম্যান

পুরনো জাহাজ বিক্রি করবে এমজেএল

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে পুঁজিবাজারে নতুন অর্থের যোগান না থাকায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং বাজারে দীর্ঘদিন মন্দাভাব বিরাজমান রয়েছে। বিএমবিএ মনে করে উদ্বুদ্ধ পরিস্তিতির কারণে বাজারে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা কারো কাম্য নয়। বর্তমানে অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ও অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই সংকটের দ্রুত সমাধান না করা হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে এবং উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনে নিরুৎসাহিত হবেন। বাজারের বৃহত্তর স্বার্থে চলমান সংকট দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সমাধানের লক্ষে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে বিএমবিএ।

গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশ জারি করে কমিশন। একে কেন্দ্র করে সংস্থাটিতে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। বুধবার সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এ আদেশকে আইনবহির্ভূত উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের জন্য কমিশনের কাছে দাবি জানায়। কিন্তু কমিশন তাদের অবস্থানে অনড় থাকলে এক পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কমিশন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর শরানাপন্ন হয। তারা এসে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদেরকে নিরাপদে অফিস ত্যাগ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা সাইফুর রহমানের অবসরের আদেশ প্রত্যাহার ও বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগসহ চার দফা দাবি জানান। এসব দাবি পূরণ না হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন। সে ঘোষণা অনুসারে, বৃহস্পতিবার বিএসইসির কর্মকর্তা কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেন।

ঢাকা/এনটি/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ব এসইস র ব এমব এ

এছাড়াও পড়ুন:

বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগে বিশেষ কর ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বিএসইসির তাৎক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা’ শিরোনামে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আস্থা বাড়াতে  ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সূচক পতনের কারণ খুঁজতে যেসব শেয়ারদরের ওঠা-নাম সূচকে বেশি প্রভাব ফেলছে, সেগুলোর লেনদেনে নজদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। 

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত, বহুজাতিক, বস্ত্র ও ওষুধ খাতের লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসতে উৎসাহ দিতে কর ছাড়, ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সীমিত করা এবং শেয়ারবাজারকে বিকল্প অর্থায়নের উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর বাইরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বিএসইসির সমন্বয় বাড়ানো, আসন্ন বাজেটে লভ্যাংশ ও বিনিয়োগের ওপর কর ছাড় সুবিধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে বিএসইসি। 

শেয়ারবাজার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে টকশো এবং বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে বার্তা দেওয়া হবে।

কমিশন আশা করছে, এসব পদক্ষেপ এবং কর্মপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজারে স্থিতিশীল হবে।

এদিন রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিএসইসি কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, শেয়ারবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধি এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

চলতি এপ্রিলে লাগাতার দরপতনের পরও বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে কিছু বিনিয়োগকারী রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করছেন। তারা সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এ পদে ‘অযোগ্য’ এমন অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন।

সরকারি একটি সংস্থার চাপে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন- এমন গুজবে রোববার পতনের ধারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শেয়ারবাজার। পতন করছেন না- এমন খবরে ফের দরপতন শুরু হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও এফআইডির সচিব বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। 

বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিছু জরুরি কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় কোটি শ্রমিক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বাইরে
  • শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে করসুবিধা দেবে সরকার
  • কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানালেন রাশেদ মাকসুদ
  • ৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল
  • ২১ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিএসইসির আদেশ জারি
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করল বিএসইসি
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান
  • বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে: বিএসইসি
  • বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে