সিরিয়ায় নতুন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল আসাদ অনুগতদের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় প্রদেশ লাতাকিয়ায় রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত বিমানঘাঁটির কাছে ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের অনুগতদের সঙ্গে সিরিয়ান বাহিনী তীব্র এ লড়াইয়ে ৪৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে ১৬ জন সরকারি নিরাপত্তা কর্মী, ২৮ জন আসাদপন্থী যোদ্ধা এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। লাতাকিয়া এমন একটি এলাকা যা ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের আলাউইত সংখ্যালঘুদের প্রাণকেন্দ্র এবং আসাদের সমর্থনের একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়াভিত্তিক স্টেপ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সরকার সমর্থিত বাহিনী আসাদপন্থী ‌‘প্রায় ৭০’ জন সাবেক যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। দেশটির জাবলেহ এবং এর আশেপাশের এলাকায় ২৫ জনেরও বেশি জনকে আটক করা হয়েছে। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে- তারা স্বাধীনভাবে হতাহতের তথ্য যাচাই করতে পারেনি। 

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেখানে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ইসলামপন্থী সরকারের সঙ্গে যুক্ত বাহিনীর ওপর এটি সবচেয়ে বড় সহিংস হামলার একটি। সিরিয়ায় আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র এবং আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উপকূলীয় অঞ্চলে এ সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে যে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী শক্তি বৃদ্ধি করে জাবলেহ শহরের দিকে এগুচ্ছে। এদিকে সিরিয়ার হোমস ও আলেপ্পো শহরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাচাই না করা ভিডিওতে হোমসের আবাসিক রাস্তায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার কেউ কেউ খুনি ও অপরাধীদের রক্ষায়  মৃত্যুর জন্য নিজেকে ধাবিত করছে। পছন্দ তাদের- হয় অস্ত্র জমা দেবে নতুবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য এই অঞ্চলটি নিরাপত্তার জন বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলাউইত কর্মীরা বলছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা এবং আক্রমণের শিকার হয়েছে, বিশেষ করে হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকায় এর প্রভাব বেশি পড়েছে। আহমেদ আল-শারার দেশটির দক্ষিণেও প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছেন, যেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ড্রুজ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ