হাতিয়ায় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
Published: 8th, March 2025 GMT
হাতিয়ায় এক প্রবাসীর বাড়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে এ অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত জামশেদ উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর রুকন। ঘটনা গত শুক্রবারের। সকালে জামশেদ তার জমির অংশ প্রবাসী প্রবাসী এমরান উদ্দিনের বাড়ির অংশে রয়েছে বলে দাবি করেন। কয়েকটি গাছ কাটেন। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ভরাট করে। বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রবাসীর বাবা হাতিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৩জনকে আসামী করে মামলা করেন।
এ দিকে ঘটনার দিন এমরান উদ্দিন প্রবাসে থেকে মোবাইল ফোনে আসামীকে বার বার নিষেধ করেন। আসামীরা উল্টো হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে এমরান সৌদি আরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কাছে আবেদন করেন। কনস্যুলেট জেনারেলের শ্রম কাউন্সেলর নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনটি পাঠান।
অভিযুক্ত জামায়াত নেতা জামশেদ উদ্দিন বলেন, আব্দুর রহিমের থেকে এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। আমি আমার জায়গা থেকে গাছ কেটেছি এবং আমার জায়গায় মাটি ভরাট করেছি।
জমি বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, আমি এই জায়গা প্রবাসী এমরান উদ্দিনের কাছে বিক্রি করেছি। আর জামশেদ উদ্দিনের কাছে যেটা বিক্রি করেছি, সেটা এই সিমানার উত্তর পাশে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে এমরান উদ্দিন তার জায়গা ভোগ করছেন। হঠাৎ করে জামশেদ লোকজন নিয়ে এসে গাছ কেটে মাটি ভরাট করে জায়গা দখলের চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা জামায়াতের আমির মাস্টার বোরহানুল ইসলাম বলেন, আভিযোগ তদন্ত করার জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।