হাতিয়ায় এক প্রবাসীর বাড়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে এ অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত জামশেদ উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর রুকন। ঘটনা গত শুক্রবারের। সকালে জামশেদ তার জমির অংশ প্রবাসী প্রবাসী এমরান উদ্দিনের বাড়ির অংশে রয়েছে বলে দাবি করেন। কয়েকটি গাছ কাটেন। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ভরাট করে। বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রবাসীর বাবা হাতিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৩জনকে আসামী করে মামলা করেন।

এ দিকে ঘটনার দিন এমরান উদ্দিন প্রবাসে থেকে মোবাইল ফোনে আসামীকে বার বার নিষেধ করেন। আসামীরা উল্টো হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে এমরান সৌদি আরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কাছে আবেদন করেন। কনস্যুলেট জেনারেলের শ্রম কাউন্সেলর নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনটি পাঠান।

অভিযুক্ত জামায়াত নেতা জামশেদ উদ্দিন বলেন, আব্দুর রহিমের থেকে এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। আমি আমার জায়গা থেকে গাছ কেটেছি এবং আমার জায়গায় মাটি ভরাট করেছি।

জমি বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, আমি এই জায়গা প্রবাসী এমরান উদ্দিনের কাছে বিক্রি করেছি। আর জামশেদ উদ্দিনের কাছে যেটা বিক্রি করেছি, সেটা এই সিমানার উত্তর পাশে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে এমরান উদ্দিন তার জায়গা ভোগ করছেন। হঠাৎ করে জামশেদ লোকজন নিয়ে এসে গাছ কেটে মাটি ভরাট করে জায়গা দখলের চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানা জামায়াতের আমির মাস্টার বোরহানুল ইসলাম বলেন, আভিযোগ তদন্ত করার জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ