সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সোনারগাঁ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার (১২ মার্চ)  দুপুরে উপজেলার উদ্ধবগঞ্জ বাজারে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য ও উপস্থিতি মানববন্ধনে সোনারগাঁ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাংবাদিক ফরিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কবি খন্দকার পনির নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ নাগরিক সমাজ মোগরাপাড়া ইউনিয়ন সমন্বয়ক পুলিন খন্দকার, কোষাধ্যক্ষ আবু হানিফ, সেলিম মিয়া, শফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কবির হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বিপ্লব, রওশন জাহান সুলতানা, মনির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার জসিম, নিটল, ইউসুফ আলী, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী শিপন, মশিউর রহমান, সাংবাদিক মাসুম, ওমর ফারুকসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা নারীদের প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসব অপরাধ দমনে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানান। তারা নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ সময় বক্তারা বলেন, সমাজে নারীদের প্রতি সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই অপরাধ দমনে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।

এসময় তারা প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনুন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। দেশে দ্রুত স্থিতিশীলতা না এলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হবে না।

 মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করেন এবং এ ধরনের অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন। 

আরো পড়ুন:

আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ

জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন

আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।” 

চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।

২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। 

ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দর নির্বাচনী আসনকে দুই ভাগে বিভক্তি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন 
  • অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক
  • জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
  • জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন, হুশিয়ারী
  • ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’