৪৩০ ম্যাচ। ১১ হাজার ৪৭ রান। ১৬৬ উইকেট। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুই দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এসব রেকর্ডকে সঙ্গী করে। বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকেও ধন্যবাদ পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ, ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘‘এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই বিষাদের একটা মুহূর্ত। প্রায় দুই দশক মাহমুদউল্লাহ জাতীয় দলের অন্যতম প্রধান ভরসা ছিল। ধারাবাহিকতা ও চাপের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারার ক্ষমতা তাঁকে অমূল্য এক সম্পদে পরিণত করেছিল। খেলার প্রতি তার নিবেদন ও পারফরম্যান্স ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা মানদণ্ড তৈরি করেছে। তার লিগাসি অনুপ্রেরণা হিসেবে থেকে যাবে।’’

মাহমুদউল্লাহর অবদানের কথাও স্মরণ করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পারফর্ম করার জন্য মাহমুদউল্লাহর আলাদা একটা সুনাম ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ব্যাট অথবা বল হাতে, সবচেয়ে দরকারি মুহূর্তে সে পারফর্ম করেছে। চ্যালেঞ্জিং সময়ে তার মাথা ঠাণ্ডা রাখার গুণ ও মাঠে নেতৃত্বগুণ তাঁকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সম্মানিত ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’’

আরো পড়ুন:

ওয়ানডে দলে নতুন মুখ ইশমা

নিষিদ্ধের চিঠির পরই আফগানিস্তানের সিরিজ বাতিল করল আয়ারল্যান্ড

ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে ফারুক যোগ করেন, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত এক ক্যারিয়ারকে উদযাপন করি। একই সঙ্গে এতগুলো বছর দল ও খেলার জন্য নিবেদনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই। এ বিষয়েও আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করে যাবে।’’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের ভুলে মাস্টার্সের সব পরীক্ষার্থী ফেল!

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রোকনুজ্জামানের উদাসীনতার কারণে মাস্টার্সের ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণেই তারা সবাই ফেল করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমীন বলেন, “রসায়ন বিভাগের ৯০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।”
দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। যারা ভুল করেছে এবং যাদের কারণে সবাই ফেল করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি, সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।” 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সব কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ তারিখে তাদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। 

গত ৪ জুন (বুধবার) তাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়। তখন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থী জানতে পারেন তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর দেখতে পাই শুধুমাত্র কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। অনলাইনে প্রকাশিত ফলাফল শিটে সব পরীক্ষার্থীর নামের পাশে এফ লেখা থাকায় আমরা নিশ্চিত হই যে আমরা সবাই ফেল করেছি।

তারা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন তারা জানান, আমাদের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়নি। এ কারণে আমরা ফেল করেছি।

এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান রোকনুজ্জামানের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ