ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের জোড়খালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

বুধবার রাতে ছাত্রীর বাবা তিন বখাটের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় মামলা করেছেন। তারা হলেন জোড়খালী এলাকার রাজ মল্লিক, সিফাত মল্লিক ও আরিফ মল্লিক। মামলার পর থেকে তারা পলাতক।

এজাহার থেকে জানা গেছে, জোড়খালী এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রাজ মল্লিক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাড়িতে এসে সবাইকে জানায়। ছাত্রীর বাবাসহ পরিবারের লোকজন রাজ মল্লিককে এমন কর্মকাণ্ড করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ মল্লিক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। ১০ মার্চ দুপুরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। ওই সময় আসামিরা তার পথরোধ করে পরনের কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে ওড়না ছিঁড়ে ফেলে। ছাত্রী দৌড়ে বাড়িতে এসে ঘটনা তার বাবাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের শাসান। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। বাবাকে রক্ষায় ছাত্রী এগিয়ে এলে আসামিরা তাকেও মারধর করে। বাবা-মেয়ে চিৎকার করলে ছাত্রীর চাচা মো.

আলম বেপারি এসে আসামিদের বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। তখন আসামিরা প্রকাশ্যে বাদীর মেয়েকে এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, অপহরণ ও খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

রাজ মল্লিকসহ আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেনলা বলেন, এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ প্রয়োজনে ভুক্তভোগী পরিবারকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসএসসিতে অনুপস্থিতির বড় কারণ বাল্যবিবাহ
  • কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৩
  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার