ময়মনসিংহে পুকুর থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
Published: 15th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় একটি পুকুর থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের এক বাড়ির পাশের পুকুর এসব গুলি উদ্ধার করা হয়।
ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল মামুন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকাল থেকে গোবিন্দপুর গ্রামের তালুকদার বাড়ির একটি পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছিল। মাটি উত্তোলনের একপর্যায়ে পুকুরে অনেকগুলো গুলি পড়ে থাকতে দেখেন শ্রমিকরা। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, গুলিগুলো পুরাতন। কতদিন আগে এগুলো পুকুরে ফেলা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বলা যাবে, এগুলো ব্যবহারের উপযুক্ত কি না। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর আগেও তারা এ এলাকায় গুলি পেয়েছেন। সেগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের গুলি ছিল।
ঢাকা/মিলন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।