সুন্দরবনে ২০৫ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারি গ্রেপ্তার
Published: 18th, March 2025 GMT
সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে ২০৫ কেজি হরিণের মাংসসহ এক হরিণ শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে কোস্টগার্ড। গত রোববার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টেশন তিনটি স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব মাংসসহ একজনকে আটক করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম বাবু ম্যোলা (২৭)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার পার্শেমারি গ্রামের বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ জানান, গত রোববার রাতে সুন্দরবনসংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন বাজার, খুলনার কয়রার উপজেলার দক্ষিণ খাসিটানা শেকবাড়িয়া নদীসংলগ্ন ও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জয়মনিরগোল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে শিকার করা ২০৫ কেজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, চামড়া ও আটটি পাসহ বাবু মোল্যাকে আটক করা হয়। তিনি শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা।
কোস্টগার্ডের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাবু মোল্যার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জব্দ আলামতসহ সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ ও নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, বাবুর বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র উপজ ল র শ য মনগর স ন দরবন
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।