মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়ম ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। বিপর্যয়ে পড়া গুলশান লোয়ার মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয় পেয়েছে।

ডিপিএলে বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শাইনপুকুরকে ৪৬ রানে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। অধিনায়ক রায়ান রাফসানের সেঞ্চুরিতেও জিততে পারেনি শাইনপুকুর। অন্য ম্যাচে অল্প রানের লড়াইয়ে শেষ বলে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। 

মিরপুরে ব্রাদার্স ইউনিয়ম ৯ উইকেটে ২৯০ রানের ভালো সংগ্রহ পায়। দলটির হয়ে ওপেনার বিশাল চৌধুরী ৭৫ বলে ৮৩ রান করেন। তিনে নামা মিজানুর রহমান ৫০ ও চারে নামা আইচ মোল্লা ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ারে অলক কাপালি যোগ করেন ৩১ রান। 

জবাবে ওপেনিং জুটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম তামিম ৪২ রান যোগ করেন। সেখান থেকে ১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দলটি ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ওপেনার জাওয়াদ ১৭ বলে ৩০ ও তিনে নামা লিটন দাস ৪০ বলে ৩৩ রান করেন। লোয়ারে নাইম ইসলাম ৫০, ইলিয়াস সানি ৫৩, ফরহাদ রেজা ৪৭ ও পেস অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ১৮ বলে ৩২ রান করে গুলশানকে জেতান। 

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ৭ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে। ওপেনার সাদমান ৫৩ ও তিনে নামা ইমরুল কায়েস ৮৬ রান করেন। জবাবে অধিনায়ক রাফসানের ১৩০ বলে ১০৬ রানের হার না মানা ইনিংসের পরও শাইনপুকুর ৫ উইকেটে ২৪৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির ৫১ রান করেন। 

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে পারটেক্স এক বল থাকতে ২২৩ রানে অলআউট হয়। দলটির দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ ও রুবেল মিয়া ফিফটি করেন। জবাবে ওপেনার ও উইকেটরক্ষক আব্দুল মাজিদের হার না মানা ১০০ রানের ইনিংসে শেষ বলে জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। আসাদুল্লাহ আল গালিব ফিফটি মারেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল ল টন দ স শ ইনপ ক র র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন শাসন করেছেন, তেমনি বলিউডেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয় গুণে মিঠুন কুড়িয়েছেন যশ-খ্যাতি।

১৯৫০ সালের ১৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন মিঠুন। আজ পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তর বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে মিঠুনকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা-অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর।

জন্মদিন উপলক্ষে মিঠুনের উদ্দেশ্যে মমতা শঙ্কর বলেন, “প্রিয় মিঠুন, সুস্থ থাক। সবাইকে নিয়ে ভালো থাক। খুশিতে ও আনন্দে থাক। আরো ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দে। সাই বাবার কাছে তোর জন্য সারাক্ষণই প্রার্থনা করি।”

আরো পড়ুন:

অক্ষয়ের সিনেমার আয় ৩৩২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

মিঠুনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা মনে করে মমতা শঙ্কর বলেন, “মিঠুনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা মৃণালদার বাড়িতে। তখন ‘মৃগয়া’ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আমার আর মিঠুনের জীবনের প্রথম সিনেমা এটি। কত স্মৃতি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব।”

শুটিং সেটে এবং সেটের বাইরে মমতার সঙ্গে খুবই রসিকতায় মেতে উঠতেন মিঠুন। স্মৃতিচারণ করে মমতা শঙ্কর বলেন, “বাবা, মিঠুন, দারুণ বিচ্ছু। সারাক্ষণ ওর রসিকতা। সবার পিছনে লাগত। আমিও ছাড় পেতাম না। ২৪ ঘণ্টা ওর মাথার মধ্যে দুষ্টুবুদ্ধি ঘুরত। আমাকে খুব লেগ পুল করত। আর আমি রেগে যেতাম। সে কী বলব!”

২০২৬ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি হবে। সেই সূত্রে মিঠুন-মমতারও অভিনয় ক্যারিয়ার ৫০ বছরে পা দেবে। এই বিষয়টা মমতার মনকে বেশ প্রফুল্ল করে তুলেছে!

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সবকিছু ভুলে এখনো এ জুটির বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।

দেব প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন মিঠুন-মমতা। এ অভিনেত্রী বলেন, “মিঠুন আমার বন্ধু, সারাজীবন থাকবে। হ্যাপি বার্থ ডে মিঠুন। সব্বাইকে নিয়ে তুই খুব ভালো থাকিস।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ