দুই বছরেরও বেশি সময় আগে আফগানিস্তান ভ্রমণের সময় অপহৃত এক মার্কিন ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে তালেবান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহলার এবং কাতারি আলোচকদের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির আলোকে ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

আটলান্টার এয়ারলাইন মেকানিক জর্জ গ্লেজম্যান হলেন জানুয়ারি থেকে তালেবানের মুক্তি দেওয়া তৃতীয় আমেরিকান বন্দি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তালেবানের গোয়েন্দা সংস্থা তাকে আটক করে এবং পরের বছর মার্কিন সরকার তাকে ভুলভাবে আটক হিসেবে বলে দাবি করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য জিম্মি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করা বোহলার তাকে কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। কাতার বছরের পর বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করে আসছে।

গ্লেজম্যানের মুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ‘স্বাভাবিকীকরণের’ অংশ বলে জানিয়েছে তালেবান। 

২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এখনো পর্যন্ত বেশিরভাগ দেশ তালেবানের শাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ