মুক্তাগাছায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্তের বাড়িঘর ভাঙচুর
Published: 2nd, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ১০ বছরের এক শিশুকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. দুলাল মিয়া (৩০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে উত্তেজিত জনতা উপজেলার নামা মহিষতারা গ্রামে দুলাল মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে।
অভিযুক্ত দুলাল মিয়া নামা মহিষতারা গ্রামের মন্নেছ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, দুলাল ঈদের দিন সোমবার বিকেলে নিজের মেয়ে এবং ভিকটিম শিশুকে তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে নিজের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে ভিকটিম শিশুকে এক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুকে একটি ভ্যানে করে অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। দুলাল তাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে বলে অসুস্থ শিশুটি তার পরিবারকে জানায়। এসময় ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের লোকজন দুলালকে ধরতে গেলে স্থানীয় মজিদ দুলালকে কৌশলে ভাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। উত্তেজিত গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে দুলালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মজিদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মজিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ভিকটিম শিশুটিকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দুলালকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।