জামালপুরে জমজমাট শতবর্ষী ঈদমেলা, উৎসবের আমেজ
Published: 2nd, April 2025 GMT
বিদায়ী বসন্তের চঞ্চল হাওয়ায় চারদিকে বইছে ঈদ আনন্দের আমেজ। এমন আমেজে শিশু, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সীরা যাচ্ছেন বালিজুড়ি এফএম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের দিকে। নাগরদোলার কড়কড় আওয়াজ, বিচিত্র বাঁশি বা বাদ্যের আওয়াজ ছাপিয়ে কানে আসছে মানুষের হইহুল্লোড়।
বিশাল মাঠের বিভিন্ন জায়গায় চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক। ধোঁয়া উঠছে উত্তপ্ত কড়াই থেকে; ভাজা হচ্ছে জিলাপি, চিনির গজা, খুরমা, গুড়ের খইসহ বাহারি মিষ্টান্ন। ঈদ ঘিরে এবারও জমে উঠেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার শতবর্ষী এই মেলা।
সকাল থেকে হরেক রকম দোকান সাজিয়ে বসলেও মেলা জমে ওঠে দুপুরের পরপর। মাঠে জনসমাগম থাকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত। স্থানীয় লোকজন জানান, শত বছরে ধরে চলা মেলাটি শুধু ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ৭ দিনের জন্য বসে। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানিরা এ মেলায় আসেন। একেবারে শুরুর দিকে মেলায় শুধু ঐতিহ্যবাহী খাবারের কয়েকটি দোকান থাকলেও দিন দিন এর পরিধি ও সংখ্যা বেড়েছে। গ্রামটির বাসিন্দা ও ঈদের ছুটিতে এলাকায় আসা লোকজনই মূলত এসব পণ্যের ক্রেতা। শুধু তা–ই নয়, সারা জেলা থেকে অনেকেই সপরিবার ছুটে আসেন এ মেলায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ঢল নেমেছে মেলার আশপাশের এলাকায়। শিশুরা অভিভাবকদের হাত ধরে তাড়াহুড়ো করে মেলার ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। আর দোকানিরা তো ক্রেতা সামলাতে মহাব্যস্ত। মেলায় তিলধারণের ঠাঁই নেই।
মেলা থেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার কিনছেন এক ক্রেতা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ
মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।
আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়।
আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।
এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।
এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।