রান্না-খাওয়া পর্ব ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করলে নারীরাও আনন্দ করতে পারবেন
Published: 2nd, April 2025 GMT
ঈদ মানে উৎসব। উৎসব মানে আনন্দ। বয়স, অর্থনৈতিক সচ্ছলতার মানদণ্ডে আনন্দ উপভোগের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এই ধরুন, মফস্সল শহর রংপুরে আমার বেড়ে ওঠা। আমি একসময় ঈদ উদ্যাপন করেছি বাঁধনহীনভাবে। ছিল নির্মল আনন্দ। এখন বয়সের কারণে সেভাবে আর হয়ে ওঠে না।
রংপুর শহর ছিল তখন ছিমছাম, গোছানো। এখনকার মতো বড় বড় বহুতল ভবন, ঝলমলে শপিং মল, এত গাড়ি, রিকশা, অটোরিকশা ছিল না। মা-বাবারাও সন্তানদের নিয়ে এত চিন্তা করতেন না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন পর্যন্ত মা–বাবার সঙ্গে নতুন কাপড় পরে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছি। তাঁদের ছাড়া একা বেড়ানোর সাহস হয়নি। আমরা ঠিকাদারপাড়া কলেজ রোডে থাকতাম। মাধ্যমিকে এসে পাড়ার সমবয়সীদের নিয়ে দল বেঁধে এ বাড়ি–ও বাড়ি যেতাম। কলেজে এসে বেড়ানোর সীমানা বেড়ে গেল। রংপুরের বিভিন্ন পাড়ায় বান্ধবীদের বাসায় গিয়ে আড্ডা দিতাম। আর ঈদে কার পোশাক কত সুন্দর, সেটা দেখা হতো!
আমার মা বা অন্য মায়েদের যেমন দেখেছি, ঈদ এলে হাসিমুখে রাজ্যের দায়িত্ব তাঁরা পালন করেন। ঈদ উৎসব সার্থক করতে আম্মাকে দেখতাম, বাড়িঘর পরিপাটি থেকে সাজগোজ, ধোয়ামোছা, কেনাকাটা, জাকাত দেওয়া, রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ততার কমতি নেই। ঈদের দিনে আমাদের সাজগোজ, পোশাক ঠিক আছে কি না, সেটি যেমন দেখতেন, তেমনি রান্নাবান্না, অতিথি আপ্যায়ন নিয়ে আম্মা ব্যস্ত থাকতেন।
আরও পড়ুনঈদের দিনটা কেটে যায় কাজে, নিজের জন্য আর কিছুই থাকে না৩১ মার্চ ২০২৫নামাজ শেষে আব্বা সঙ্গে করে পাড়ার মামা, চাচাদের নিয়ে আসতেন। নিজেদের আত্মীয়স্বজন আসত। আম্মা হরেক রকম সেমাই, পুডিং, মাংস, পোলাও দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। ঈদের পরেও কয়েক দিন ব্যস্ততায় কাটত। আম্মার কাজের সহকারী হানুফার কথা মনে পড়ে। তার কোনো ঈদ–আনন্দ ছিল কি না, কখনো জানা হয়নি। কারণ, তার তো বসে থাকারই ফুরসত ছিল না।
নাসিমা আকতারের (ডান দিক থেকে প্রথম) বড়বেলার ঈদ কাটে নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।