আঁশসমৃদ্ধ খাবারের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো, এসব খাবার খেলে রক্তের খারাপ চর্বির মাত্রা কমে যায়। উৎসবের সময় এক দিকে থাকে ভারী খাবারদাবারের আয়োজন, আবার অনেকেই এ সময় শরীরচর্চা করেন না। লম্বা ছুটিতে এমন জীবনধারা বেছে নিলে কিন্তু রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বাড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। তাই এ সময় আঁশসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা দারুণ অভ্যাস। সঙ্গে একআধটু শরীরচর্চা করতে পারলে তো খুবই ভালো হয়। তিনবেলা খাওয়ার পর ১০ মিনিট করেই নাহয় হাঁটুন। সুস্থ থাকবেন।

এ সময় আঁশের আরও উপকারিতা

আঁশসমৃদ্ধ খাবার পেটের জন্য ভালো। উৎসব-আয়োজনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়ার পর পেটের পীড়ায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে আঁশসমৃদ্ধ খাবার। আমাদের অন্ত্রে স্বাভাবিকভাবেই যেসব উপকারী জীবাণু থাকে, সেসবের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে খাবারের আঁশ। ফলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। তাতে পেটের পীড়ার ঝুঁকি কমে যায়। পর্যাপ্ত আঁশ গ্রহণ করলে কোষ্টকাঠিন্য এড়ানো সহজ হয়। আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ লম্বা সময় ক্ষুধাও লাগে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে আঁশসমৃদ্ধ খাবার।

আরও পড়ুনআপনিও কি খাওয়ার পরে গ্যাসের ওষুধ খান? ১৫ আগস্ট ২০২৪

কী খাবেন, কী এড়িয়ে চলবেন

নানান রকম ফলমূল এবং সবজি খাবেন। ফলের রসের চেয়ে গোটা বা টুকরা করা ফল ভালো। যেসব খোসা সমেত খেতে পারবেন, সেসবের খোসা ফেলবেন না। অন্তত একবেলা শাক খাওয়া ভালো। নানান ধরনের ডাল, বীজ, বাদাম প্রভৃতি খেতে পারেন। রিফাইনড বা পরিশোধিত শস্যের চেয়ে গোটা শস্যে বেশি আঁশ থাকে। লাল চাল বা লাল আটা বেছে নিতে পারেন। একবেলা হয়তো ওটস দিয়ে মজার কিছু তৈরি করে খেলেন। ইনস্ট্যান্ট নুডলস-জাতীয় প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া উচিত। আঁশ যেমন খাবেন, পর্যাপ্ত পানিও খাবেন রোজ।

কতটা খাবেন আঁশ

রোজ একজনের গড়ে ২৮-৩৪ গ্রাম আঁশ প্রয়োজন। এতটা আঁশ কিন্তু রোজকার জীবনে অনেকেই গ্রহণ করেন না। তাই আঁশের মাত্রা বেশি হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আদতে খুবই কম। ধরুন, আপনি ১০০ গ্রাম সবজি বা ফল খেলেন। এর ১০০ গ্রামই তো আর আঁশ নয়। সবজি বা ফলভেদে প্রতি ১০০ গ্রামের জন্য কিছু পরিমাণ আঁশ পাবেন আপনি। একেবারে গুগল থেকে আঁশের মাত্রা খুঁজে বের করে ক্যালকুলেটরে হিসাব করে খেতে হবে, তা কিন্তু নয়। খানিকটা কমবেশি হলে কোনো ক্ষতি নেই। চেষ্টা করুন আঁশ একটু বেশিই গ্রহণ করতে। তবে কেউ যদি একেবারে অতিরিক্ত আঁশ গ্রহণ করে ফেলেন, তাহলে অবশ্য তাঁর অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা, পেটব্যথা বা পাতলা পায়খানার মতো কিছু সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুনঅতিরিক্ত খেয়ে পেট ফাঁপলে উপায় কী?১৭ জুন ২০২৪

উৎসবের পরও

উৎসবের পরও আঁশ খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন। উপকার মিলবে। রক্তের খারাপ চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। তাই আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাবেন রোজ। তাতে প্রদাহের ঝুঁকিও কিন্তু কমে। ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। গবেষণা এমনটাও জানাচ্ছে, আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেলে স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি কমে।

সূত্র: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল

আরও পড়ুনকী খেলে আঁশ পাবেন২০ জানুয়ারি ২০১৭.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫