ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন নাসির হোসেন। তার ক্রিকেটে ফেরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের জন্য নির্ধারিত শর্তগুলি সফলভাবে পূরণ করার পর আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পুনরায় ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দিয়েছে।
৩৩ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার আজ মাঠেও নেমে গেছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে মাঠে নেমেছেন নাসির। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। দলটির একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নাসির। ইনিংসের প্রথম ওভারটিও করেন তিনি।
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সময় একটি আইফোন উপহার পেয়েছিলেন নাসির। তথ্য গোপন করায় ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন। নিষেধাজ্ঞার অন্যান্য শর্তে সন্তুষ্ট করার প্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল তার ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল। সময় ক্ষেপণ না করে আজই মাঠে নেমে গেছেন।
আরো পড়ুন:
প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল
জিম্বাবুয়ে সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তরুণদের সামনে সুযোগ
প্রায় সাত বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে নাসির। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেন তিনি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসের অধিনায়কত্ব করেন নাসির। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালার তিনটি আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় নাসিরের বিরুদ্ধে। চার মাস ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইসিসি। ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার গ্রহণ করে সেটি দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের জানাননি নাসির।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।
তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।”
একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।
এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?
তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা/এম/রফিক