আজ থেকে ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্কব্যবস্থা কার্যকর হতে যাচ্ছে। একই দিনে ভারতের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্যসম্ভার নিয়ে যাওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা হয়েছে, যা একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই সিদ্ধান্ত, যা ভারতীয় বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলো দিয়ে পণ্য পরিবহনের ওপর প্রভাব ফেলবে, বাংলাদেশে রপ্তানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের বাজারে। এই সুবিধা বাণিজ্য সহজতর করতে এবং খরচ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য ‘লজিস্টিক্যাল’ চাপ বাড়াতে পারে, যা আঞ্চলিক বাজারে এর প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

এই সিদ্ধান্ত তৈরি পোশাকের মতো বর্ধনশীল খাতের প্রতিযোগিতায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তবে এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের একটি বৃহত্তর সমস্যাকে তুলে ধরছে। এমন একটি পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

বিশ্ববাণিজ্য ক্রমেই আরও জটিল এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে সহযোগিতা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুটি দেশ দীর্ঘকাল ধরে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ভাগাভাগি করে আসছে। বাণিজ্যের সুষ্ঠু প্রবাহ রক্ষা করা উভয়ের জন্যই অপরিহার্য।

ভারত বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদারগুলোর মধ্যে একটি। এই নীতিগত পরিবর্তন ভবিষ্যতে উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সংগতিপূর্ণ নয়। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি যে ভারত তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে এবং উভয় দেশের জন্য উপকার হয়, এমন একটি সমাধান বের করতে আলোচনায় বসবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাজারের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য সহযোগিতামূলক একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এই ধরনের সিদ্ধান্ত উভয় দেশের সম্মিলিত উন্নতি এবং প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করা উচিত নয়।

সবশেষে ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্কব্যবস্থা কার্যকর হওয়া এবং অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য বাণিজ্য লজিস্টিকসের ক্ষেত্রে যে সুবিধা, অধিকার এবং উপকারিতা কমে যাচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা।

সেলিম রায়হান, নির্বাহী পরিচালক, সানেম

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক: ফারুকী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।‎ গত ২০ এপ্রিল নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন।

ইরেশ যাকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বিনোদন অঙ্গনের অনেক তারকারাই কথা বলছেন। এবার সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সোমবার (২৮ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এ সময় ইরেশ যাকেরের মামলার বিষয়টি উঠে আসে।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, এখন নিজে সরকারের অংশ; অ্যাক্টিভিসস্ট নই। যে কারণে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হবে। ইরেশ যাকেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। জানি, তিনি জুলাইয়ের আন্দোলনেও জড়িত ছিলেন। ফলে তার বিরুদ্ধে এই মামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, মামলা করেছেন একজন ব্যক্তি। এটি রাষ্ট্রপক্ষ কিংবা সরকারের দেওয়া মামলা না। এখন মামলা করার স্বাধীনতা পেয়েছি সবাই। কেউ কেউ এটার অপব্যবহার করছে। আমি বিশ্বাস করি পুলিশ এটির সঠিক তদন্ত করে, যেটি সত্য সেটির পক্ষে থাকবে আর যেটি মিথ্যা সেটি বাতিল করে দেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরেশ জাকেরের বিরুদ্ধে মামলা খুবই বিরক্তিকর: ফারুকী
  • ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক: ফারুকী