লিফলেট হাতে নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের বার্তা দিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর থেকে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

প্রথমদিনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এবং কোটবাড়ির বোর্ড মার্কেটের দোকানগুলোতে এ কার্যক্রম চালান। পুরো কুমিল্লা শহরে এ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আরো পড়ুন:

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: কুবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই কুবির সাবেক রেজিস্ট্রারকে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজিদ হোসেন বলেন, “মানুষ হিসেবে আমাদের সবার উচিত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যেহেতু সরাসরি ফিলিস্তিন গিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারছি না, তাই চেষ্টা করছি আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারি ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করার।”

তিনি আরও বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যেসব ব্যবসায়ী ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা সবাই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তারা সবাই ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

আতিকুর রহমান রায়হান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “ইসরায়েলের আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ওপর যে গণহত্যা, শিশুহত্যা, নির্যাতন চালাচ্ছে, আমাদের উচিত ইসরায়েলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করা। একজন মানুষ হিসেবে এবং একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের ইমানি দায়িত্ব ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করা।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এবং কোটবাড়ির বোর্ড মার্কেটের দোকানগুলোতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনসংযোগ চালিয়েছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ

পুরোনো ভবনের একটি ক্লাসরুম। দেয়ালের রং, পলেস্তারার অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। এ শ্রেণিকক্ষে সারিবদ্ধভাবে সাজানো বেঞ্চ। এক সারির প্রথম বেঞ্চে বসে আছেন টিভি অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী শারমীন। অন্য সারির শেষের দিকের বেঞ্চে বসা ইরফান সাজ্জাদ। তার কোলে বসে আছে একটি শিশু। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইরফান সাজ্জাদ তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন এই দম্পতি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কারণ এই ক্লাসরুমে স্ত্রী শারমীনের সঙ্গে তার প্রেমের সূচনা।    

আরো পড়ুন:

পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’

ছবির ক্যাপশনে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “গল্পটা শুরু এই ক্লাস রুম থেকেই। সালটা ছিল ২০০৬। আমি ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার, সে ছিল প্রথম সারির! ঠিক এই বেঞ্চগুলোতে আমরা বসতাম! সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রাম, অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ক্লাস তখন মূল ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নাম্বার রুমে হতো।” 

সময় রিক্রিয়েট করার কথা উল্লেখ করে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “আজকে অলমোস্ট ২০ বছর পর সময়টা রিক্রিয়েট করলাম; যদিও আমার কোলে আরো একজন ব্যাক বেঞ্চার আছে! ক্লাস রুমটা একই আছে, ক্লাসরুম একই থাকে শুধু চরিত্রগুলো বদলায়।” 

ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ফারজানা ববি নামে একজন লেখেন, “আহ! সেই দিনগুলোতে নতুন করে ফিরে গেলাম যেন তোমার স্ট্যাটাস পড়ে। তোমাদের তিনজনের গল্পে আমরাও আছি কিন্তু। শারমীনসহ আবার এলে সবাইকে ডাক দিও একদিন। শিঙাড়ারার আড্ডা খুব মিস করি।” 

আরেকজন লেখেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসাথে থাকুন, এটাই চাই ভাইয়া।” অপর্ণা বড়ুয়া লেখেন, “আমিও এ কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করেছিলাম। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • এবার সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে পাকিস্তানের প্রতিবাদ
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’
  • আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিওটি এশিয়া কাপের নয়