রুয়েটে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ডিপ্লোমা কোটা বাতিলের দাবি
Published: 13th, April 2025 GMT
দশম গ্রেডে ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরিতে শতভাগ ও নবম গ্রেডের চাকরিতে ৩৩ শতাংশ ডিপ্লোমা কোটা বাতিলে দাবি করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রুয়েট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পাদদেশে এ দাবিতে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এ সমাবেশে সব ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। আয়োজকরা এটাকে ‘অধিকার আদায়ের আন্দোলন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে কর্মবিভাগে সরাসরি জনবল নিয়োগের কথা সংবিধানে বলা থাকলেও দশম গ্রেডে ইঞ্জিনিয়ারিং চাকুরিতে শতভাগ ডিপ্লোমা কোটা ও নবম গ্রেডের চাকুরীতে ৩৩ শতাংশ ডিপ্লোমা কোটা রাখা হয়েছে। যা সাংবিধানিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন রুয়েট শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদলাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ প্রদান ও কর্মবিভাগে সরাসরি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারি চাকরির দশম গ্রেডে শতভাগ ও নবম গ্রেডে পদোন্নতিতে ৩৩ শতাংশ ডিপ্লোমা কোটা প্রদান করা হয়। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের এই বৈষম্যমূলক আচরণ ও অন্যায্য সুবিধা ভোগের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েট শিক্ষার্থীরা এ সমাবেশ আয়োজন করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থী চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সংবিধানের আর্টিকেল ২৯-এ ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে; কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
অন্য দুইটি দাবি হলো- টেকনিক্যাল দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে; ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
সমাবেশে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর কঠিন পাঠ্যক্রম, ল্যাব, থিসিস ও প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে পাস করা বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা চাকরির বাজারে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সরকারি নিয়োগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাধান্য ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চতর পদে প্রবেশে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা পেশাগত মর্যাদা ও ন্যায্যতা লঙ্ঘন করে।
রুয়েট ইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী মায়িন উদ্দিন বলেন, “চাকরি ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ানদের কাছে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদেরকে প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হতে হয়। আমরা আজ যে দশম গ্রেডের কথা বলছি, তার পুরোটাই ডিপ্লোমাদের দ্বারা কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। যেখানে যোগ্যতা প্রমাণের কোনো সুযোগই রাখা হয়নি, যা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থারই নামান্তর।”
পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাদি বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেডে পদ সংখ্যা নবম গ্রেড থেকে অনেক বেশি হয়। দশম গ্রেডে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগের কোনো সুযোগই রাখা হয়নি। অবাক করার বিষয় হলো, যারা কিনা বলতে গেলে ইন্টার সমমান যোগ্যতা রাখে, সেই ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ানরা নবম গ্রেডের কোটায় পদন্নতির মাধ্যমে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদেরও বস পর্যন্ত বনে যাচ্ছে। কোনো রকম প্রতিযোগিতা ছাড়াই এ চরম বৈষম্য বাংলাদেশ বলেই সম্ভব হচ্ছে।”
ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দশম গ র ড নবম গ র ড সমম ন ব এসস
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা দিবসে শাকিব খানের দুই রাজপুত্র ভাইরাল!
একদিকে হারমোনিয়ামে সুরের ঝরনা, অন্যদিকে কৌতুক ছড়ানো করপোরেট জবাব—এই দুয়ে মিলে রীতিমতো ভাইরাল ‘বাবা দিবস স্পেশাল’ হয়ে উঠলেন ঢালিউডের কিং শাকিব খান ও তার দুই ছেলে, জয় ও বীর।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে বাবা দিবস উপলক্ষে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে দুটি আলাদা ভিডিও। একটির নায়ক বড় ছেলে আব্রাম খান জয়, অন্যটি তার ছোট ভাই শেহজাদ খান বীর।
জয়ের ভিডিওটি এসেছে মায়ের (অপু বিশ্বাস) ব্যবস্থাপনায় চালিত ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে দেখা যায়, ছোট্ট জয় বাবার পাশে বসে হারমোনিয়ামে গান করছে। ক্যাপশনে লেখা, “আমার অসাধারণ বাবাকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা। পৃথিবীর সেরা বাবাকে নিয়ে উদযাপন করছি।”
ভিডিওতে স্পষ্ট—শাকিব শুধু বড় পর্দার তারকা নন, জয়ের কাছে তিনিই তার জীবনের সুর।
আরো পড়ুন:
পাইরেসির কবলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’!
সিরাজগঞ্জে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ নেই আশানুরূপ দর্শক
অন্যদিকে বীরের মজার ভিডিওটি এসেছে তার মা বুবলীর পেজ থেকে। ক্যামেরার সামনে বাবা শাকিব জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার বাবা কে?’ বীর বলে, ‘থালাইবা...’ শাকিব আবার জানতে চান, ‘আমরা কোন গ্রুপের মালিক?’ উত্তরে বীর বলে, ‘এসকে গ্রুপ।’ এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, “যেমন বাবা তেমন ছেলে। বাবার ভালোবাসা সবসময় ছেলের হৃদয়ে অঙ্কিত থাকবে।”
এই দুটি ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন এবং মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা ও প্রশংসায়। অনেকেই বলছেন— “শাকিব যেমন সুপারস্টার, তেমনই সুপারড্যাড। ব্যস্ততার মাঝেও ছেলেদের সময় দেওয়া যে কারো পক্ষে সম্ভব, শাকিব সেটার সুন্দর উদাহরণ।”
এদিকে, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’ সিনেমা এখনো প্রেক্ষাগৃহে সগৌরবে প্রদর্শিত হচ্ছে। শাকিব খান এখন যেন দুই ফ্রন্টেই রাজত্ব করছেন—একদিকে সিনেমা হলে, আরেকদিকে দুই ছেলের হৃদয়ে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত