যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ডিএসসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান
Published: 19th, April 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড এবং কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত সড়কে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে অংশ নেয় ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অভিযানটি পরিচালিত হয় ডিএসসিসির প্রশাসক মো.
অভিযানের আওতায় যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত মহাসড়ক ও আইল্যান্ডে জমে থাকা দীর্ঘদিনের বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানান, মহাসড়ক ও আইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ময়লা বায়ুদূষণসহ পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত হওয়ায় সেখানে ডিএসসিসির নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের ময়লা পরিষ্কারের ফলে পরিবেশ দূষণ কমবে এবং সড়ক ব্যবহারকারীরা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন।’
আসন্ন বর্ষা মৌসুমের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে প্রশাসক জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার ও ড্রেন পরিস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ২৩ এপ্রিল থেকে খাল ও ড্রেন উদ্ধার এবং পরিস্কারে বিশেষ অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি। ডেঙ্গু মৌসুম মোকাবিলায় মশক কর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ সংস্থার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ইনব র ড ড এসস স র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।
এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস