রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড এবং কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত সড়কে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। 

শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে অংশ নেয় ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অভিযানটি পরিচালিত হয় ডিএসসিসির প্রশাসক মো.

শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে।

অভিযানের আওতায় যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত মহাসড়ক ও আইল্যান্ডে জমে থাকা দীর্ঘদিনের বর্জ্য অপসারণ করা হয়।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানান, মহাসড়ক ও আইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ময়লা বায়ুদূষণসহ পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত হওয়ায় সেখানে ডিএসসিসির নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের ময়লা পরিষ্কারের ফলে পরিবেশ দূষণ কমবে এবং সড়ক ব্যবহারকারীরা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন।’

আসন্ন বর্ষা মৌসুমের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে প্রশাসক জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার ও ড্রেন পরিস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ২৩ এপ্রিল থেকে খাল ও ড্রেন উদ্ধার এবং পরিস্কারে বিশেষ অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি। ডেঙ্গু মৌসুম মোকাবিলায় মশক কর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ সংস্থার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ইনব র ড ড এসস স র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ