নগরবাউলের সঙ্গে প্রথমবার এক মঞ্চে উপকূলের ‘বাউল’রা
Published: 23rd, April 2025 GMT
কক্সবাজারের তরুণদের গানের দল পেনোয়া। গত বছর প্রথম অ্যালবাম ‘এ রুহের তলে’ প্রকাশের পর আলোচনায় আসে ব্যান্ডটি। এর পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কনসার্টের ডাক পেতে থাকে তাঁরা। এবার নিজ শহরে হচ্ছে স্বপ্নপূরণ। প্রথমবারের মতো নগরবাউলের সঙ্গে একই মঞ্চে গান করার সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। ২৬ এপ্রিল কক্সবাজারের একটি তারকা হোটেলে নগরবাউলের সঙ্গে প্রথমবার এক মঞ্চে উপকূলের ‘বাউল’রা।
আরও পড়ুনকক্সবাজারের ব্যান্ডটির গান কেন শুনছেন তরুণেরা০৭ ডিসেম্বর ২০২৪বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ব্যান্ডের সদস্যরা। ব্যান্ডটির গীতিকার ও ভোকাল ইয়াসির আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘কনসার্টটি নিয়ে ভীষণ রোমাঞ্চিত। নতুন একটা ব্যান্ড হিসেবে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। নিজের শহরে নগরবাউলের সঙ্গে এক মঞ্চ শেয়ার করার সুযোগ আমাদের সদস্যদের অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, ভালো কিছু হবে।’
আরও পড়ুনজেমস বললেন, ‘আত্মজীবনী? একদমই না, নেভার’১৩ এপ্রিল ২০২৫পেনোয়া ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: ব্যান্ডের সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল