ইকুয়েডরের ফুটবলার জ্যাকসন রদ্রিগেজের স্ত্রী ও তাঁর পাঁচ বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণ করেছে ডাকাতেরা। দেশটির শীর্ষ লিগের ক্লাব এমেলেকের এ ডিফেন্ডারের খোঁজে বাসার দরজা ভেঙে ঢুকেছিল তারা। তদন্তকারীদের জ্যাকসন জানিয়েছেন, সে সময় তিনি বিছানার নিচে লুকিয়ে ছিলেন।

জ্যাকসনের স্ত্রী এবং সন্তান অপহৃত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। বন্দরনগরী গুয়াইয়াকিলে স্থানীয় সময় বুধবার রাত তিনটায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশপ্রধান এদিসন রদ্রিগেজ।

পুলিশপ্রধান জানান, জবানবন্দীতে ২৬ বছর বয়সী রদ্রিগেজ বলেন, বাড়ির সদর দরজা ভেঙে ফেলার শব্দ শুনেই তিনি বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। দ্য সান জানিয়েছে, ডাকাতেরা জ্যাকসনের বাসায় লুটপাটও চালিয়েছে। জ্যাকসন বাসায় আছেন কি না, তাঁর স্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিল দুষ্কৃতকারীরা। এরপর তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশের মতে, জ্যাকসন জানালা দিয়ে দেখেছেন, ‘একটি ধূসর রঙের পিকআপ’ ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতকারীরা।

ইকুয়েডর সরকার ১০ দিন আগে দেশটির নয়টি স্থানে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর এ ঘটনা ঘটল। এ নয়টি স্থানের মধ্যে গুয়াইয়াস প্রদেশও আছে, যেখানে গুয়াইয়াকিল বন্দরনগরী অবস্থিত। সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি করা এসব স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কারণে সহিংস ঘটনা বাড়ছে।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সরকারের দাবি অনুযায়ী, চার বছর ধরেই সেখানে অপরাধপ্রবণতা বাড়ার পাশাপাশি জনজীবনে নিরাপত্তা কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। যা চলতি বছরের প্রথম কয়েক মাসে আরও বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সহিংস ঘটনায় দেশটিতে ২ হাজার ৩৪৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ইকুয়েডরের রাজধানী কিটো থেকে ১৬৮ মাইল দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের শহর গুয়াইয়াকিলেই মারা গেছেন ৭৪২ জন।

ইকুয়েডরে ফুটবলারদের অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু হওয়া নতুন না। গত বছর ডিসেম্বরে ইকুয়েডরের শীর্ষে লিগের ক্লাব লিগা দে কিটোর ডিফেন্ডার পেদ্রো পেরলাজাকে রাজধানী কিটো থেকে ১১৩ মাইল উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের শহর এসমেরালদাসে অপহরণ করা হয়। কিছুদিন পর তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ য কসন অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১১ জুন) রাতে বন্দর উপজেলার  মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার গ্রামে  অপহরণের এ ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার হাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান শিশির (৩৫), বন্দরের নেহাল সরদারেরবাগ গ্রামের  মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) ও সোনারগাঁ উপজেলার  নাজিরপুর বড়বাড়ি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে রনি( ৪০),  বাবুল (৪৮) ও অপুসহ ১০-১২ জন অপহরণকারী। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার ফাহিমের (১৭) এর মামা হৃদয় হোসেন  বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন)  বন্দর থানায়  মামলা করেছেন।

মামলার বাদী হৃদয় হোসেন জানান, ভাগ্নে ফাহিম ও তার বন্ধু মোহন মিয়া বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের আরেক বন্ধু অপুর সাথে দেখা করতে বন্দরের লাউসার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি  ও মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে  তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তে কল করে পুলিশকে জানান। পরে বন্দর থানা  পুলিশ  ফাহিম ও মোহনকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে বন্দর  থানার ওসি  তরিকুল ইসলাম জানান, অপহরণ ঘটনায় মামলা হয়েছে।  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অপহরণকারীদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • সুবিচার মিলবে কত বছরে
  • বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার