অপহরণের ৯ দিন পর খাগড়াছড়ির ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত
Published: 24th, April 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কয়েক দফায় অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
তবে, কোথায়-কখন তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। অপহরণের ৯ দিন পর অপহৃতরা মুক্তি পেল।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকায় অপহরণের শিকার হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থী।
তারা হলেন- চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, একই বিভাগের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি।
এদের মধ্যে রিশন চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অপহৃতদের উদ্বারে সোচ্চার থাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে, পিসিপি’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অপহরণ ঘটনার জন্য আবারও প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ‘ইউপিডিএফ’ কে দায়ি করা হয়। তবে তা অস্বীকার করে ইউডিপিএফ প্রসিত গ্রুপ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অপহরণের পর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী খাগড়াছড়িতে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে।
ঢাকা/রূপায়ন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক যুবলীগ নেতাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জহির উদ্দিন মিন্টু (৪৯) নামে সাবেক এক যুবলীগ নেতাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে অপহরণের শিকার ওই নেতাকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যারপাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের শিকার জহির উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছেন বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন।
যুবলীগ নেতা জহিরের সঙ্গে তার ছোট ভাই মো. সোহেলকেও (৩৫) অপহরণ করা হয়। পরে তাকে বাড়ি থেকে মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
সোহেল বলেন, ‘আমার ভাই মিন্টু ডলু নদী থেকে বৈধ ইজারাকৃত জায়গা থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করে ভিটা ও গর্ত ভরাটের কাজ করেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার ভাইকে মোবাইল ফোনে কল করে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি বালু ভরাটের কথা বলে এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যারপাড়া এলাকায় ভাইকে যেতে বলে। সে অনুযায়ী, আমি ও আমার ভাই মোটরসাইকেলে অপহরণকারীদের বলা জায়গায় গেলে তারা আমাদের মারধর শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে তারা আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবির টাকা দিতে আমার এক প্রতিবেশীর মোবাইল ফোনে কথা বলি। এ টাকা না দিলে তারা আমাদের হত্যার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে তারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভাইকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। অপহরণকারী দলের সদস্য সংখ্যা ৭-৮ জন হবে। তারা সবাই অস্ত্রধারী। তবে তাদেরকে আমরা চিনতে পারিনি। পরে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেইট এলাকা থেকে আজ ভোরে আমার ভাইকে উদ্ধার করে।’
সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ বলেন, অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মু্ক্তিপণ দেওয়ার আগেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে জহির উদ্দিন মিন্টুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. তফিকুল আলম বলেন, অপহরণের বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সাড়ে ৮ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।