১০% বোনাস লভ্যাংশ দেবে এমটিবি, মুনাফা বেড়েছে ১০.৬৫%
Published: 29th, April 2025 GMT
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত বছরের কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে।
গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ–সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ২২ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯১ পয়সা।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৫০ টাকা ২২ পয়সা; আগের বছর যা ছিল ১৫ টাকা ৫৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৫ টাকা ৯৪ পয়সা।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, কোম্পানির পুঁজিভিত্তি শক্তিশালী করতে ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির গতি বৃদ্ধি করতে ব্যাসেল ৩ নীতিমালা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট বছরের মুনাফা থেকেই এই লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। অনর্জিত মুনাফা বা মজুত থেকে এই স্টক লভ্যাংশ দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি হলো, বোনাস শেয়ার দেওয়ার মাধ্যমে কোম্পানি নগদ অর্থ ধরে রাখতে পারে। লভ্যাংশ দেওয়া হলে কোম্পানির তহবিল থেকে অর্থ বেরিয়ে যায়, কিন্তু বোনাস শেয়ারের ক্ষেত্রে তেমন হয় না। এই সংরক্ষিত নগদ অর্থ কোম্পানি ভবিষ্যতের বিনিয়োগ বা অন্য কোনো ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।
আগামী ৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ মে।
এমটিবির খেলাপি ঋণের পরিমাণ একেবারেই কম। পাঁচ বছরে যেসব ঋণ গেছে, তার খেলাপির হার ১ শতাংশের কম। গত বছর আমাদের ব্যাংকের আমানত ২৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। আর ঋণ ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। পরিচালন মুনাফা ৩৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ