জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
Published: 29th, April 2025 GMT
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
চার ম্যাচ হাতে রেখে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। এটা নিয়ে ২০তম বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। তাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের লিগ জয়ের রেকর্ড ছুঁয়েছে রেডরা। রোববার ঘরের মাঠে টটেনহামকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেই শিরোপা নিশ্চিত করে লিভারপুল।
সেই ম্যাচের পর উৎসবে ভাসছে লিভারপুল। খেলোয়াড়েরাও ভাসছেন আনন্দ-সরোবরে। তবে এমন আনন্দ-উৎসবের মধ্যেও দলটির কিছু খেলোয়াড়ের মন খারাপ থাকতেই পারে। মন খারাপের কারণটা অবশ্যই যৌক্তিক। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, কিন্তু ওই খেলোয়াড়েরা শঙ্কায় চ্যাম্পিয়নের পদক গলায় ঝোলাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে।
প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম হলো চ্যাম্পিয়নের পদক পেতে হলে পুরো মৌসুমে কমপক্ষে ৫টি ম্যাচে মাঠে নামতে হবে। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবকে ৪০টি পদক দেয়। নিয়ম মেনে পদক বিতরণের পর চাইলে হাতে থাকা পদক অন্য খেলোয়াড়দের দিতে পারে।
লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খেলোয়াড়দের উদ্যাপন