Samakal:
2025-08-01@08:32:17 GMT

মাটির পাত্রে রাখা পানি

Published: 29th, April 2025 GMT

মাটির পাত্রে রাখা পানি

এক সময় মানুষ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বাসনপত্রে রান্না করত। পানি সংরক্ষণের জন্যও ব্যবহার করা হতো মাটির পাত্র। এ অভ্যাস তৎকালীন প্রজন্মকে সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করত। সময়ের বিবর্তনে আবারও ফিরে এসেছে সেই চল। অনেকে আজকাল পানি সংরক্ষণের জন্য মাটির ফিল্টার ও জগ ব্যবহার করছেন। অনেকে আবার পানি খাওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন মাটির মগ বা গ্লাস। মাটির পাত্রে রাখা পানি পানে নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। যেমন–
প্রাকৃতিকভাবে পানি ঠান্ডা রাখে 
মাটির পাত্রে রাখা পানি প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা থাকে। এ গরমে বাইরে থেকে ফিরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি না খেয়ে এ পাত্রে রাখা পানি পান করুন। এতে শরীর শীতল হবে। 
হজম শক্তিকে উন্নত করে
মাটির পাত্রে পানি রেখে পান করলে হজম শক্তি উন্নত হয়। মাটিতে থাকা ক্ষার পানির অম্লতা নিরপেক্ষ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। সেই সঙ্গে মাটিতে থাকা খনিজ ও লবণ হজমের জন্য উপকারী। মাটির পাত্রে রাখা পানি পানে এসিডিটি, ফোলাভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা কমে। শরীরে টক্সিক কেমিক্যালের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে মাটির পাত্রে রাখা পানি।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে
প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক একটি সাধারণ সমস্যা। মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ এ পাত্রে পানি থাকায় খনিজ এবং পুষ্টি উপাদানগুলো অক্ষত থাকে। এর ফলে শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেট হয়।
পানির গুণমান উন্নত
মাটির পাত্র কেবল পানি ঠান্ডা করে না, বরং প্রাকৃতিকভাবে পানি বিশুদ্ধ করার জন্যও কার্যকর। কাদামাটি দিয়ে তৈরি ছিদ্রযুক্ত মাটির পাত্র প্রাকৃতিকভাবে পানি ফিল্টার করে। যার ফলে পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়।
স্বাদ বাড়ায়: মাটির পাত্র রাখা পানি পান করলে পানিতে অন্য রকম এক স্বাদ ও সুগন্ধ যোগ হয়। মাটির বিভিন্ন উপাদান পানিতে মিশে স্বাদটা ভিন্নমাত্রা পায়। এ কারণে এই পানি খেতে অনেক সতেজ লাগে।  
পরিবেশবান্ধব
প্লাস্টিকের বোতলের চেয়ে মাটির পাত্র বেশি ভালো হওয়া কারণ, এটি পরিবেশবান্ধব। এ ছাড়া কাচের বোতলের চেয়ে মাটির বোতল ব্যবহার করা সাশ্রয়ী। মাটির পাত্র দীর্ঘ সময় ব্যবহারও করা যায়। v
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস, হেলথ শটস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র জন য প ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিহাইড্রেশন দূর করতে ‘লেবুর কাজী’

লেবুর কাজী ভাতের সাথে ডালের মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, মাংসের ঝুরা, কালা ভুনা, এবং কোয়াবের সঙ্গে খেতেও অনেক ভালো লাগে। ভুনা বা ডিপ ফ্রাই মাছের সাথেও বেশ জমে যায় লেবুর কাজী।

উপকরণ

ঠান্ডা পানি: ৫০০ মিলি

ভাজা শুকনা মরিচ: ২টি

লেবু: ১টি (রস করে নেওয়া)

সরিষার তেল: ১ টেবিল চামচ

রসুন কুচি: ১ চা চামচ

লবণ: স্বাদমতো

প্রথম ধাপ: একটি বড় বাটিতে লেবুর রস, শুকনা মরিচ, রসুন কুচি, সরিষার তেল ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর  হাত দিয়ে উপকরণগুলো ভালোভাবে মেখে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ: এবার পরিমাণমতো পানি যোগ করুন। এরপর সবকিছু একসাথে মিশিয়ে নিলেই তৈরি লেবুর কাজী।

সূত্র: শিউলি কিচেন

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ