রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এখন ইউনুস ট্রেড সেন্টারে
Published: 5th, May 2025 GMT
রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর দিলকুশায় ইউনুস ট্রেড সেন্টারে নতুন করে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকটি এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় দিলকুশায় ‘রূপালী ভবন’ নামে নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভবনটি অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তোলার জন্য সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবন সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ইউনুস ট্রেড সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সংস্কারের কার্যক্রম শেষে ব্যাংক আবার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করবে।
নতুন স্থানে স্থানান্তর হওয়া প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষ পোশাক পরে মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি ফায়ার সার্ভিসের
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুন লাগা রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের দুজন সদস্য। এ জন্য তাঁরা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক (কেমিক্যাল স্যুট) পরছেন।
শিয়ালবাড়ির এই গুদামে গতকাল মঙ্গলবার লাগা আগুনে পুড়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুদামটি টিনশেড দোতলা। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। লাশগুলো চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। এখানে প্রবেশ করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এখানে ঢোকার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরতে হচ্ছে।
যে ভবন ও গুদামে গতকাল আগুন লাগে, তার আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানা আজ সকালে খোলা হয়েছিল।
গুদাম থেকে বের হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়ায় কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস মাইকিং করে কারখানাগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
রূপনগর থানাধীন শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে টিনশেডের রাসায়নিক গুদাম ও চারতলা ভবনটি অবস্থিত। ভবনটির দোতলায় স্মার্ট প্রিন্টিং নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় আর এন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনটি চারতলা হলেও ছাদে টিনশেড দিয়ে আরও একটি তলা করা হয়েছে। এই ভবন এবং টিনশেডের রাসায়নিক গুদামে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ভবন ও গুদাম কোনোটিরই ফায়ার সেফটি প্ল্যান বা লাইসেন্স ছিল না।
গতকাল ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভানো যায়নি। ফলে সেখানে কোনো লাশ আছে কি না, ফায়ার সার্ভিস জানাতে পারেনি।