রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এখন ইউনুস ট্রেড সেন্টারে
Published: 5th, May 2025 GMT
রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর দিলকুশায় ইউনুস ট্রেড সেন্টারে নতুন করে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকটি এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় দিলকুশায় ‘রূপালী ভবন’ নামে নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভবনটি অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তোলার জন্য সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবন সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ইউনুস ট্রেড সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সংস্কারের কার্যক্রম শেষে ব্যাংক আবার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করবে।
নতুন স্থানে স্থানান্তর হওয়া প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুদের ওপর মারাত্মক সহিংসতার জন্য আবারও জাতিসংঘের কালোতালিকায় ইসরায়েল
জাতিসংঘ দ্বিতীয় বছরের মতো ইসরায়েলকে ‘কালোতালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিশ্ব সংস্থার এই তালিকায় এমন দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা সশস্ত্র সংঘর্ষে শিশুদের ওপর গুরুতর নির্যাতন চালিয়েছে। এমন এক সময় ইসরায়েলকে কালো তালিকাভুক্তির ঘোষণা এসেছে, যখন গাজায় প্রায় ২০ মাস ধরে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, ২০২৪ সালে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘নজিরবিহীন মাত্রায়’ পৌঁছেছে। আর শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে। ইসরায়েলি বাহিনীই এসব ঘটনার জন্য দায়ী।
‘চিলড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের ওপর গুরুতর সহিংসতা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিরুদ্ধে ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতার তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা ও অঙ্গহানি, যৌন সহিংসতা, স্কুল ও হাসপাতালের ওপর হামলার ঘটনা।
এসব ঘটনার মধ্যে শুধু অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর ওপর ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে ২ হাজার ৯৪৪টি ফিলিস্তিনি শিশু ও ১৫টি ইসরায়েলি শিশু।
জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে, গাজায় ১ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত ও ৯৪১ শিশু আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল। ওই দিন থেকে ইসরায়েল গাজায় টানা নৃশংস ও নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলের অধিকৃত এলাকায় ২০২৪ সালে নিহত আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশুর তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে।
জাতিসংঘ বলেছে, পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হওয়ার তথ্যও তারা পেয়েছে। সেখানে শিশুদের ওপর সহিংসতার মোট ৩ মোট ৬৮৮টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে লেবাননে ইসরায়েলের চালানো হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে গত বছর পাঁচ শতাধিক শিশু নিহত বা আহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে শিশুদের ওপর এত মাত্রায় গুরুতর সহিংসতার ঘটনায় আমি মর্মাহত।’ তিনি বলেন, জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরক অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার ভয়াবহ ছিল।
গুতেরেস আবারও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেখানে শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ নিয়ম রয়েছে, স্কুল ও হাসপাতাল রক্ষার কথা বলা হয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। যেকোনো সামরিক হামলায় সাধারণ জনগণের ক্ষতি এড়াতে হবে।
ইসরায়েলের জাতিসংঘ মিশন এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস এবং ইসলামিক জিহাদের আল-কুদস ব্রিগেডসকেও দ্বিতীয়বারের মতো এই কালোতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গাজা ছাড়াও ২০২৪ সালে যেসব দেশে শিশুদের ওপর সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেগুলো হচ্ছে—কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (প্রায় ৪ হাজার), সোমালিয়া (প্রায় ২ হাজার ৫০০), নাইজেরিয়া (প্রায় ২ হাজার ৫০০), হাইতি (প্রায় ২ হাজার ২০০)।
শতকরা হারে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা বেড়েছে—লেবাননে (৫৪৫ শতাংশ), মোজাম্বিকে (৫২৫ শতাংশ), হাইতিতে (৪৯০ শতাংশ), ইথিওপিয়ায় (২৩৫ শতাংশ) ও ইউক্রেনে (১০৫ শতাংশ)।