সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের বিপরীতে দাঁড়ায়নি, একসঙ্গেই কাজ করছে
Published: 26th, May 2025 GMT
সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের বিপরীতে দাঁড়ায়নি এবং একসঙ্গে কাজ করছে বলে সেনাসদর জানিয়েছে। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছে সেনাসদর।
ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.
মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কাজে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না।’
করিডর নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, ‘যেভাবে কথা আসছে যে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশাল মতপার্থক্য হয়েছে, বিভেদ রয়েছে, মিডিয়াতে বিষয়টি যেভাবে আসছে, এ রকম আসলেই কিছু হয়নি। আমরা একে অপরের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সুন্দরভাবে কাজ করছি। এটা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ নেই।’
বিষয়গুলো জটিলভাবে চিন্তা না করে সহজভাবে ভাবার আহ্বান জানিয়ে নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, ‘আমরা যেন বিষয়টিকে এমনভাবে না দেখি যে সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে এবং একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে। এটা কখনোই নয়। সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব বলে সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
সেনাসদর আরও জানায়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র ও ৭০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং গত আগস্ট এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৯৬৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাল চক্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
সেনাসদরের ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, বিগত ৪০ দিনে যৌথ অভিযানে ৪৮৭ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য, যেমন ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, অবৈধ মদ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র ও স ন ব হ ন ক জ করছ স ন সদর একসঙ গ ক জ কর কর ন ল অপর র
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটির দিনে দাম্পত্য সম্পর্ক সুখী করতে পাঁচটি কাজ করতে পারেন
সম্পর্ক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক ও মার্কিন মনোবিজ্ঞানী মার্ক ট্রেভার্স তার গবেষণায় দেখিয়েছেন যে, সুখী দম্পতিরা ছুটির দিনে পাঁচটি কাজকে প্রাধান্য দেন। এই পাঁচটি কাজ একজনের প্রতি আরেকজনের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং অনুরাগ বাড়িয়ে দেয়। আজ এই বৃষ্টিদিনে যেসব দম্পতি সাপ্তাহিক ছুটি একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ পেযেছেন- তারা মার্ক ট্রেভার্স-এর মতামত অনুযায়ী পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে পারেন।
ফোনকে ছুটিতে পাঠান: ছুটির দিনে ফোনকেও ছুটিতে রাখুন। একেবারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফোন হাতে নেবেন না। অথবা বিনোদনের জন্য ফোনের ওপর ডিপেন্ড করবেন না। বিশেষ করে গ্রুপ চ্যাটিংয়ের বার্তা, মেসেঞ্জারের হাই-হ্যালো, ই-মেইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চেয়ে সঙ্গীকে প্রাধান্য দিতে পারেন।
‘মি টাইম’ নায় ‘আস টাইম’কে প্রাধান্য দিন: ছুটির দিনটিতে সঙ্গীকে পাশে রাখুন। একসঙ্গে কথা বলুন, গল্প করুন, কোথায় হাঁটতে বেড়িয়ে পড়তে পারেন। একসঙ্গে ত্বকের যত্নও নিতে পারেন। মানে এমন কাজ খুঁজে নিন যাতে একজন আরেকজনের পাশে থাকা যায়।
আরো পড়ুন:
মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পাকিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ প্রেমিক হিসেবে কেমন?
একসঙ্গে ঘর গুছিয়ে ফেলুন: গবেষণা জানাচ্ছে, যেসব দম্পতি ছুটির দিনে নিয়মিত নিজেদের ঘর-বাড়ি, জামাকাপড় গুছিয়ে রাখেন, গাছের যত্ন নেন, ঘরের লুক চেঞ্জ করেন অন্দরের সাজে মনোযোগ দেন, একসঙ্গে রান্না করেন একটু পরিবেশনের সময় একটু ভিন্নতা যোগ করতে চান তাদের সম্পর্ক টিকে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। সুখী দম্পতি ছুটির দিনে এসব কাজই করেন।
শারীরিক সম্পর্ককে প্রাধান্য দিন: সুখী দম্পতি ছুটির দিনে নিজের ও সঙ্গীর শারীরিক চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দম্পতি শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্ট, তাদের সম্পর্কে সুখী হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
একসঙ্গে হাসুন: সুখী হওয়ার জন্য ‘হাসি’ জরুরি। খেয়াল করেছেন কি, যেসব মানুষের সঙ্গে আপনি হাসেন, তারাই আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ। একসঙ্গে হাসলে সম্পর্কের তৃপ্তি বাড়ে। সুখী দম্পতিরা ছুটির দিনে নিজেরা মজা করেন, পরিবেশটা আনন্দময় করে তুলতে চান।
সূত্র: সিএনবিসি অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি