আঞ্চলিক সমিতির কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩
Published: 27th, May 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আঞ্চলিক সমিতির কমিটিতে পদ-পদবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত তিন শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাকিল হাওলাদার, একই বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির হাসান এবং গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক সোহান শাহ। শাকিল ও মোবাশ্বির সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোহান কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সহসভাপতির পদ পান সোহান শাহ। এ নিয়ে মোবাশ্বির হাসানের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহান ও তাঁর দুই ব্যাচমেট এবং মোবাশ্বিরের বিভাগের কয়েকজন জুনিয়রের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহান শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে মোবাশ্বিরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। আমি বলি, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এ নিয়ে হাতাহাতি হয়। পরে মোবাশ্বির ২০-২৫ জনকে নিয়ে আমার ওপর হামলা করে।’
অন্যদিকে মোবাশ্বির হাসান বলেন, ‘দুপুরে কমিটি ঘোষণার পর সোহান আমার রুমে এসে তর্কে জড়ায়। কেন তাকে সভাপতি করা হয়নি, এ নিয়ে একপর্যায়ে সে আমাকে মারতে থাকে। তখন আমার জুনিয়ররা এসে আমাকে রক্ষা করে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যান।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বেলাল শিকদার বলেন, ‘আমি আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবে।’
এদিকে ঘটনার পর জালালাবাদ থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন
সর্বস্তরের মানুষের অধিকার রক্ষা হয়, এমন বাংলাদেশ বিএনপি গড়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম চায় দুর্নীতি বন্ধ হোক এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠুক। জাতি চায় সত্যিকারের সংস্কার। সত্যিকারের সংস্কার হবে জনগণের মাধ্যমে।
আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মুকামবাজার এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সৈয়দা আদিবা হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাবা প্রয়াত সৈয়দ মকবুল হোসেন লিচু মিয়া এ আসনে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকাবাসীর জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করেছেন। আমি তাঁর পথ অনুসরণ করে ধানের শীষের আদর্শে জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।’
সামাজিক, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে আদিবা হোসেন বলেন, ‘আমাদের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসা—সব দিক দিয়েই অনেক কাজ করতে হবে। আমরা একটা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সর্বস্তরের মানুষের নাগরিক অধিকার রক্ষা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি সারা দেশে কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সৈয়দা আদিবা হোসেনের প্রয়াত বাবা এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাঁরই রাজনৈতিক উত্তরসূরি সৈয়দা আদিবা হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এখানকার গ্রাম, হাটে ঘুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখন দুই উপজেলার প্রতিটি ঘরে গিয়ে তিনি বিএনপির ৩১ দফার পক্ষে জনমত গড়ে তুলছেন। তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত রাখতেও তিনি কাজ করছেন। জনবান্ধব এই নেত্রীকেই আগামী নির্বাচনে দল মনোনয়ন দেবে বলে কর্মী-সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারেক জলিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলালুজ্জামান হেলাল, সহসভাপতি আবদুল কাদির সেলিম, আমুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহেল আহমেদ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাদেক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিলাদ আহমেদ, আলীনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ প্রমুখ।