নগর ভবনে শ্রমিক সংগঠনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
Published: 29th, May 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১২টার দিকে সংগঠনের সভাপতি আরিফ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্সের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই নগর ভবনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগর ভবনের অভ্যন্তরে উভয়পক্ষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আরো পড়ুন:
তারুণ্যের সমাবেশ
নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণে দুঃখ প্রকাশ বিএনপির তিন সংগঠনের
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান
সংঘর্ষের মূল কেন্দ্র ছিল নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হল। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। চেয়ার-টেবিল ছোড়াছুড়ি, লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো ভবনজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন প্রিন্স গ্রুপের প্রধান আরিফুজ্জামান প্রিন্স নিজেও। সহকর্মীরা জানান, তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় সেলাই করতে হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সবাই একটি বড় রাজনৈতিক লক্ষ্যের জন্য কাজ করছি।নিজেদের মধ্যে এই সংঘর্ষ আমাদের আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
ঘটনার সময় নগর ভবনে স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসসিসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, সহিংসতায় আতঙ্কিত হয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কক্ষে তালা দিয়ে রাখেন এবং কেউ কেউ ভবন ছেড়ে চলে যান।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, “আজকের ঘটনায় আমি নিজেও আহত হয়েছি। তবে এটি ছিল একটি ভুল বোঝাবুঝি, যা আমাদের নিজেদের মধ্যে হয়েছে।”
অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্সের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ নগর ভবন স গঠন র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
পুরুষ জলহস্তী কেন নিজের ছেলেশিশুকে মেরে ফেলে?
মানুষের মতো পশুদেরও সমাজ আছে। তাদেরও সামাজিক, পারিবারিক এবং দলগত আলাদা আলাদা রীতি আছে। দলে বা সমাজে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হওয়ার জন্য পশুরাও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয়। এমনকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। বিশেষ করে জলহস্তী সমাজে এই রীতি রয়েছে। জলহস্তীদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। অর্থাৎ বাবার পরে ছেলে পরিবারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। তবে পরম্পরায় নয় বরং একজন আরেকজনকে মেরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে থাকে।
জলহস্তী মা যদি ছেলেশিশুকে অনেক কষ্টে লুকিয়ে বড় করে তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এরপর বাবা আর ছেলের রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়। যার শেষ হয় হয় বাবার মৃত্যু অথবা ছেলের মৃত্যুর মাধ্যমে।
অথবা যে পরাজিত হয় সে দল ত্যাগ করে, পরিবার ত্যাগ করে। পশু সমাজে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।
আরো পড়ুন:
বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু
জার্মানিতে বর্বরতার শিকার বাচ্চা মোরগ
ছেলে সন্তান জন্মের পরেই জলহস্তী পরিবারে নেমে আসে অজানা আতঙ্ক। বাবা জলহস্তী নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।
জলহস্তীরা সাধারণত এক একটি দলে ভাগ হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে। প্রত্যেক দলে মাত্র একজনই পুরুষ থাকে, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের ওপর শাসন ক্ষমতা বিস্তার করে। একক শাসক হিসেবে টিকে থাকার জন্যেই ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলে।
একটি ছেলেশিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মা জলহস্তীকে অনেক কষ্ট করতে হয়।
gorillatrailsafaris.com – এর তথ্য, ‘‘স্ত্রী জলহস্তীর গর্ভধারণ ৮ মাস স্থায়ী হয়। সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলেই মা জলহস্তী দল থেকে দূরে সরে যায়। সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত দূরে থাকে। যেকোনো ধরণের হুমকি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিশু জলহস্তী যখন দৌড়াতে শেখে, আত্মরক্ষা করতে শেখে তখন সেই সন্তানকে নিয়ে দলে ফেরে মা জলহস্তী। ’’
ঢাকা/লিপি