ফরিদপুরে নিখোঁজের পাঁচদিন পর মো. নীরব শেখ (১৭) নামে এক কিশোরের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে শহরের বায়তুল আমান আকাব্বর মোল্লা ডাঙ্গী থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত কিশোর ২৬ নং ওয়ার্ডের আকাব্বর মোল্লা ডাঙ্গীর রাজমিস্ত্রি রেজাউল শেখের ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি।

নীরবের বাবা রেজাউল শেখ বলেন, পাঁচদিন আগে (২৫ মে) থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ ছিল। ২৭ মে কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি করি। কিছুদিন আগে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে। ওই মোবাইলের লোভেই আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশে নদীর কোলের ডোবার কিনারায় লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে অনুসন্ধানে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আশরাফ, এ ঘটনায় মুকুল মল্লিক (২৫) ও অভি (২০) নামে দু’জনকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে জানান।

তিনি বলেন, ঘটনার দিনে মুকুলের রিকশায় করে নীরবকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আশা করছি ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা নীরবের মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো। 

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বক ন খ জ ল শ উদ ধ র ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ