চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সরাসরি কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৩০ মে) চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে ট্রাম্প জানান, তিনি শি’র সঙ্গে কথা বলতে চান। খবর আনাদোলুর। 

শুক্রবার ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চীন এই মাসের শুরুতে জেনেভায় ঘোষিত একটি বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গতমাসে তীব্র বাণিজ্য যুদ্ধে বেকায়দায় পড়েছিল বিশ্ব বাণিজ্য। জেনেভায় দেশ দুটির মধ্যে প্রাথমিক সমঝোতা হওয়ায় বিশ্ব বাণিজ্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই, ট্রাম্পের নতুন অভিযোগ বিশ্ব বাণিজ্যকে আবার অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

আরো পড়ুন:

‘বন্ধুত্বহীন ও হস্তক্ষেপকারী’: শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিককে তিরস্কার করল কিউবা

ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করলেন ট্রাম্প

শুক্রবার (৩০ মে) ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (চীন) আমাদের করা চুক্তির একটি বড় অংশ লঙ্ঘন করেছে। আমি নিশ্চিত যে আমি প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে কথা বলব এবং আশা করি আমরা এটি সমাধান করব।”

গত ১০-১১ মে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ম্যারাথন বৈঠকের পর একটি প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তি হয়। চুক্তি অনুয়ায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির উপর মার্কিন শুল্ক সাময়িকভাবে ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করতে সম্মত হয়। অন্যদিকে চীন আমেরিকান পণ্যের উপর তার আমদানি শুল্ক সাময়িকভাবে ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করতে সম্মত হয়। 

শুক্রবার সকালে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, তার আরোপ করা শুল্কের কারণে চীন ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছে, কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং নাগরিক অস্থিরতা বেড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, চীনকে বাঁচাতে দেশটির সঙ্গে দ্রুত একটি বাণিজ্য চুক্তি করেছেন তিনি। এর পরে চীনা অর্থনীতি আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।  

ট্রাম্প বলেন, “সবাই খুশি ছিল! এটাই তো ভালো খবর!!! তবে খারাপ খবর হলো যে চীন, আমেরিকার সঙ্গে তার চুক্তি সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করেছে। সম্ভবত কারো কারো কাছে এটি অবাক হওয়ার মতো খবর নয়।”   

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ জানিয়েছেন, সেমিকন্ডাক্টর খাতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপব্যবহার এবং অন্যান্য বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন।

তিনি বলেছেন, “চীন আবারো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল পদক্ষেপগুলো অবিলম্বে সংশোধন করার, চীনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার এবং জেনেভায় উচ্চ স্তরের আলোচনায় উপনীত ঐকমত্যকে যৌথভাবে বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র শ ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ