আইপিএলের ট্রফিতে সাতটি দলের নাম লিখা আছে। আজ যারা আইপিএলের ফাইনালে খেলবে তাদের নাম নেই সেই ট্রফিতে। বুঝতেই পারছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নতুন একটি চ্যাম্পিয়ন দল পেতে যাচ্ছে।
আজ রাতেই হবে সেই অপেক্ষার সমাপ্তি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের ফাইনাল। মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। পৃথক চারটি আসরে দুই দল ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু শিরোপা ছোঁয়া হয়নি কারো। এবার কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।
আইপিএলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাওয়া যে দুজন ক্রিকেটার রয়েছেন তাদের একজন বিরাট কোহলি। শুরু থেকে আছেন বেঙ্গালুরুতে। আগের সতের আসরে তিনবার ফাইনাল খেলেছিলেন বিরাট। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে প্রায় চলেই এসেছেন। এবার কী তার শিরোপা ছোঁয়া হবে সেটাই বিরাট প্রশ্নের।
পাঞ্জাব কিংসকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমিদের বাড়তি আকর্ষণ বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার কারণে। দলটির শুরু থেকে মালিকানায় আছেন তিনি। নানা উত্থান পতনের পরও দলটির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন প্রীতি। এবার কী তার মুখে হাসি ফুটবে। নাকি আরো একবার ফাইনালের মঞ্চ থেকে বিষন্ন মন ও ভাঙা হৃদয় নিয়ে ফিরতে হবে তাকে।
উত্তরটা জানা যাবে আজ রাতেই।
পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষ দুই স্থানে ছিল এই দুই দল। উভয়েই ১৪ ম্যাচে ৯টি করে জয়, ৪টি করে হার ও একটি করে পরিত্যক্ত ম্যাচ নিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল। তাদের নেট রানরেটেও ছিল সামান্য পার্থক্য। ফাইনালের উত্তেজনা, তারকা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি এবং গ্যালারির গর্জন, কোহলি-শ্রেয়সের দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমিরা।
আজকের ফাইনাল ও একটি কোয়ালিফায়ার হওয়ার কথা ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। যদিও পরে সেটি সরিয়ে দেওয়া হয় আহমেদাবাদে। বলা হয়েছিল, বৃষ্টির পূর্বাভাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ম্যাচে বৃষ্টি হলে কী হবে, কী নিয়ম রয়েছে, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। আবহাওয়া রিপোর্ট বলছে, ৩ জুন আহমেদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ। যদি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু না হয় কিংবা খেলা শেষ করা না যায়, তবে ফাইনাল বাতিল হবে না। ৪ জুন একটি রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। যদি রিজার্ভ দিনেও কোনো খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে লিগ টেবিলে যে দলটি ভাল জায়গায় ছিল তাকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
গত বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিন বার এই ট্রফি জিতেছে তারা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস পাঁচ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস এখনও পর্যন্ত এক বারও আইপিএল জিততে পারেনি। বেঙ্গালুরু বা পাঞ্জাবের আজ শিরোপা গেরো ছুটবে। কার মুখে ফুটবে হাসি? কে উচিঁয়ে ধরবে শিরোপা?
কেমন হতে পারে ফাইনালে দু-দলের কম্বিনেশন?
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সম্ভাব্য দ্বাদশ: ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, রজত পাতিদার, লিয়াম লিভিংস্টোন/টিম ডেভিড, জীতেশ শর্মা, রোমারিও শেপার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, যশ দয়াল, জশ হ্যাজলউড, সূয়াশ শর্মা
পঞ্জাব কিংস: প্রভসিমরন সিং, প্রিয়াংশ আর্য, জশ ইংলিশ, শ্রেয়স আইয়ার, নেহাল ওয়াদেরা, শশাঙ্ক সিং, মার্কাস স্টইনিস, আজমতুল্লা ওমরজাই, বিজয়কুমার বিশাখ, কাইল জেমিসন, যুজবেন্দ্র চাহাল/হরপ্রীত ব্রার, অর্শদীপ সিং।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ