কোরবানির ঈদে বাড়িতে বাড়িতে চলে মাংস রান্নার ধুম। স্বাদে ভিন্নতা আনতে তৈরি করতে পারেন গরুর মাংসের কোরমা।
উপকরণ
২ চা চামচ জিরা গুঁড়া
২ টেবিল চামচ ধনিয়া
৪ টি শুকনা মরিচ
১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
২ টেবিল চামচ গরম মসলার গুঁড়া
১ টেবিল চামচ লাল মরিচের গুঁড়া
২ টেবিল চামচতেল
২ টেবিল চামচ রসুন কুচি
২ টেবিল চামচ আদা
২ টি মাঝারি টমেটো কুচি
২ টেবিল চামচ কুড়ানো নারকেল
১/৪ কাপ কাজু বাদাম ( ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে )
২ টেবিল চামচ ঘি/তেল
১ কেজি গরুর মাংস
২ টি মাঝারি পেঁয়াজ মিহি পেঁয়াজ কুচি
৩-৪ কাপ পানি
১ কাপ দই
লবণ ( স্বাদমতো )
১/২ কাপ ধনিয়া পাতা কুচি
প্রস্তুত প্রণালি:
প্রথমে গরুর মাংস মাঝারি আকারে কেটে ধুয়ে নিন। একটি কড়াইয়ে তেল/ ঘি দিয়ে তারমধ্যে মাংসগুলো ঢেলে মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন। মাঝেমধ্যে নাড়াচাড়া দিন।
৮-১০ মিনিট পর সোনালি হয়ে এলে চুলার আচঁ বন্ধ করে প্লেটে তুলতে পারেন অথবা আপনার পছন্দমতো ২/৩ টেবিল চামচ তেল/ঘি দিয়ে আর একটু বেশি সোনালি করতে পারেন।
এবার একটি প্যানে অল্প আঁচে জিরা,ধনিয়া ও শুকনা মরিচ নড়াচড়া করতে থাকুন এবং খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়। এরপর আদা, রসুন কুচি, টমেটো কুচি, কাজু বাদাম, হলুদের গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া, নারকেল কুচি, ভেজে রাখা জিরা,ধনিয়ার মসলা ও ১ টেবিল চামচ তেল ও ২-৩ টেবিল চামট পানি ঢেলে ব্লেন্ডারে ঢেলে ব্লেন্ড করে নিন।
এরপর মাংসভাজা কড়াইয়ের ভেতর তেল ও পেয়াজ কুচি ঢেলে সোনালি রঙ করে ভেজে নিন। এর ভেতর লাল মরিচের গুঁড়া ও ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি ৩-৫ মিনিট কালচে না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এরপর ভেজে রাখা মাংসের সাথে ৪ কাপ পানি ঢেলে অল্প আঁচে ৩০ মিনিট রান্না করুন।
রান্নার মাঝে দই ও লবণ ঢেলে হালকা আঁচে রান্না করতে থাকুন। আপনি একটু বেশি ঝোল রাখতে চাইলে ৩-৪ কাপ পানি দিয়ে রান্না করতে পারেন।
মাংস নরম ও ঝোল ঘন হয়ে এলে এবং ঘ্রাণ বের হলে নামিয়ে একটি বাটিতে পরিবেশন করুন মজাদার গরুর মাংসের কোরমা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় ২৬ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সুব্রত কুমার বিশ্বাস পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ওই বছরের ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতেই রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আইন অনুযায়ীই হয়েছে।