পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘ঈদের আগে ছুটি কম থাকায় একদিনে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু একদিনে যাত্রীর এত চাপ পড়েছে যে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের যে ধারণা ছিল গত ঈদের মতো যাত্রা নির্বিঘ্ন হবে, এবার মনে হচ্ছে সেটা সম্ভব না।’

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ঈদযাত্রার পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘ঈদযাত্রা যথাসম্ভব স্বস্তিদায়ক করতে সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীও কাজ করছে। আজ যানবাহন ও যাত্রীর এত চাপ, আমরা যানবাহনে গতি স্বাভাবিক রাখতে পারছি না। আমাদের এখন চেষ্টা, যানবাহনের গতি কম থাকুক, কিন্তু থেমে যেন না থাকে।’

বাহারুল আলম বলেন, ‘সড়কের মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলায় জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষের মধ্যে বাড়ি ফেরার যে আনন্দ, তারা সড়কের মাঝখান থেকে গাড়িতে ওঠার জন্য চেষ্টা করছেন। ফলে যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করা অমানবিক হবে। আমরা যাত্রীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব কর্মকর্তাদের অফিসে থাকার কথা, তারাও রাতভর মহাসড়কে ডিউটি পালন করছেন। অনেকে ১০-১৫ কিলোমিটার হেঁটে কাজ করেছেন। তবু সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।’

এ সময় আইজিপির সঙ্গে গাজীপুরের পুলিশের পুলিশ সুপার ড.

চৌধুরী যাবের সাদেকসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইজ প আম দ র আইজ প

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ