এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা সম্ভব হচ্ছে না: আইজিপি
Published: 5th, June 2025 GMT
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘ঈদের আগে ছুটি কম থাকায় একদিনে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু একদিনে যাত্রীর এত চাপ পড়েছে যে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের যে ধারণা ছিল গত ঈদের মতো যাত্রা নির্বিঘ্ন হবে, এবার মনে হচ্ছে সেটা সম্ভব না।’
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ঈদযাত্রার পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘ঈদযাত্রা যথাসম্ভব স্বস্তিদায়ক করতে সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীও কাজ করছে। আজ যানবাহন ও যাত্রীর এত চাপ, আমরা যানবাহনে গতি স্বাভাবিক রাখতে পারছি না। আমাদের এখন চেষ্টা, যানবাহনের গতি কম থাকুক, কিন্তু থেমে যেন না থাকে।’
বাহারুল আলম বলেন, ‘সড়কের মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলায় জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষের মধ্যে বাড়ি ফেরার যে আনন্দ, তারা সড়কের মাঝখান থেকে গাড়িতে ওঠার জন্য চেষ্টা করছেন। ফলে যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করা অমানবিক হবে। আমরা যাত্রীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব কর্মকর্তাদের অফিসে থাকার কথা, তারাও রাতভর মহাসড়কে ডিউটি পালন করছেন। অনেকে ১০-১৫ কিলোমিটার হেঁটে কাজ করেছেন। তবু সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।’
এ সময় আইজিপির সঙ্গে গাজীপুরের পুলিশের পুলিশ সুপার ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’