কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে মহাখালী বাস টার্মিনালে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার সকালে অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত লাবিবা ক্লাসিক লিমিটেড নামের পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। মূলত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.

শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৮০ ধারায় এই জরিমানা আদায় করা হয়।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ সময় গণমাধ্যমকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা হয়রানি রোধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

পরিদর্শনকালে যাত্রীদের কাছ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের টাকা ফেরতের উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। এ সময় কোনো ধরনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

অন্যদিকে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, ভোর থেকেই আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত মহাখালী বাস টার্মিনালে অভিযান পরিচালনা করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদয ত র ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ