কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীর সহায়তা চেয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।  শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে বেরিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

ঈদুল আজহার দুপুরে ইশরাক হোসেন যান রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে। সেখান থেকে রহমতগঞ্জ পোস্তা হয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে ডিএসসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ বেইলি রোড যান। এ ছাড়াও হাজারীবাগ, শাহজাহানপুর, ব্রাদার্স ক্লাব ও কমলাপুরের পশুর হাট ঘুরে দেখেন ইশরাক। 

এ সময় ইশরাক হোসেন পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন। পশুর হাটে সৃষ্ট আবর্জনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে নানা নির্দেশনাও দেন। এদিন তিনি নগর ভবনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তদারকি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষে যান। সেখানে কর্মরত ব্যক্তিদেরও নির্দেশনা দেন।

ইশরাক হোসেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে নিরলসভাবে কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বৃষ্টির কারণে এ কাজে কিছুটা দেরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করতে নগরবাসীর প্রতি  আহ্বান জানান তিনি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন ইশর ক হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা উত্তরের ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার কোরবানির বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ আজকের দিনের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর নগর ভবনে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা এবং জনগণের সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। রোববার সকাল থেকে রাস্তার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি, এ বছর কোরবানিতে মোট ২০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হতে পারে। সে হিসেবে আমাদের ১গ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও প্রয়োজনীয় ট্রাক, পিক-আপ, ভ্যানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, কোরবানির প্রথম দিনে প্রায় ৯ হাজার ২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। যার মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ টন কোরবানির বর্জ্য ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

এ সময় নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক বলেন, এ বছর ডিএনসিসি থেকে সরবরাহকৃত পলিব্যাগে কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখায় সিটি করপোরেশনের কর্মীদের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। নগরবাসী এভাবে সহায়তা করলে পুরো কার্যক্রম খুব সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন হবে।

মোহাম্মদ এজাজ ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সার্বিক কার্যক্রমের জন্য বিশেষভাব ধন্যবাদ জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম সহ ডিএনসিসির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শতভাগ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের দাবি ডিএসসিসির
  • কোরবানির ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: ডিএনসিসি প্রশাসক
  • ঢাকা উত্তরের ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: প্রশাসক
  • কোরবানির বর্জ্য ঈদ আনন্দে বাধা হবে না: উপদেষ্টা আসিফ
  • ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করাই এবার বড় চ্যালেঞ্জ
  • রাজধানীর অলিগলির রাস্তায় পশু কোরবানি
  • রাজধানীর কোনো ঈদ জামাত নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না: ডিএমপি কমিশনার
  • জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: ডিএসসিসি প্রশাসক
  • জাতীয় ইদগাহে ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: ডিএসসিসি প্রশাসক