বাদ পড়ল সঞ্চয়পত্রের সুদ, কমল কর্মসূচির সংখ্যাও
Published: 11th, June 2025 GMT
সংস্কারের অংশ হিসেবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এক ধাক্কায় কর্মসূচির সংখ্যা ৪৫ কমিয়ে ফেলেছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সংখ্যা ১৪০ থেকে কমিয়ে ৯৫–তে নামিয়ে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতিবিদেরা অভিযোগ করে আসছিলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দকে ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছিল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে শুরু করে পেনশন বাবদ বরাদ্দকেও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ হিসেবে দেখানো হতো। অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদকে এ খাত থেকে বাদ দিয়েছে। পেনশন বাবদ বরাদ্দের কথাও বাজেট বক্তব্যে আলাদা করে উল্লেখ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। পেনশন ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।’ পেনশন বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ খাতে আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অথচ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মান অনুযায়ী, একটা দেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত জিডিপির ৫ শতাংশ।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ দেখানো হয়েছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ কমিয়ে ১ লাখ ২ হাজার ১২৭ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য–উপাত্ত অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ সরকার যে ভর্তুকি দেয়, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারাও এত দিন ব্যাখ্যা দিয়ে আসছিলেন যে মানুষ ব্যাংকে আমানত হিসেবে অর্থ না রেখে সঞ্চয়পত্র কিনলে যে বেশি সুদ পায়, তা বহন করতে হয় সরকারকে। ফলে এটাও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অংশ।
উপকারভোগী নির্বাচনে ডিএসআর
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তব্যে বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সঠিক ব্যক্তি যাতে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন, সে জন্য ‘ডায়নামিক সোশ্যাল রেজিস্ট্রি (ডিএসআর)’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ডিএসআরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাতা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি নির্ধারিত হবে বলে জানা গেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৩ ফেব্রুয়ারি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের সুবিধাভোগী নির্বাচন, ডেটা সংরক্ষণ এবং বিতরণের ব্যবস্থা অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রযুক্তিনির্ভর ডিএসআর স্থাপনের ব্যাপারে পরিপত্র জারি করেছে।
ডিএসআর এমন একটি তথ্যভান্ডার, যার মাধ্যমে অনলাইনে সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয় এবং তাঁদের উপযুক্ততা নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সহায়তায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি কর্মসূচিতে ইতিমধ্যে ডিএসআর চালুর কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে আটটি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা। নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচিটি হচ্ছে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি।
ভাতা ও উপকারভোগী বাড়ছে
সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাস, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবারের বাজেটে সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং মাথাপিছু বরাদ্দ উভয়ই বৃদ্ধি করার দিকে নজর দিয়েছি।’
সেই অনুযায়ী, আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী ও ভাতার পরিমাণ ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগী ৬০ লাখ ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬১ লাখ করা হচ্ছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার জন বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২৯ লাখ। একইভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা বৃত্তির সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী খাতে সুবিধাভোগী ৯৪ হাজার, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সুবিধাভোগী ২ লাখ এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী ১ লাখ ১৬ হাজার বাড়ানো হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর সংখ্যা দুই লাখ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপবৃত্তির সুবিধাভোগী ৯ লাখ ৯০ হাজার, ওএমএস সুবিধাভোগী ১১ লাখ ৪৭ হাজার, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগী ৩ লাখ ৩৭ হাজার বাড়ানো হচ্ছে।
বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায়, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের ভাতা ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধীদের ভাতা ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কিছু সংস্কারকাজে হাত দিয়েছে সরকার। এটা প্রশংসনীয়। যেসব কর্মসূচির মাধ্যমে এত বছর গোঁজামিল দেওয়া হচ্ছিল, সেগুলোর কিছু এবার বাদ পড়েছে। আবার কিছু কর্মসূচি রয়েও গেছে। যেমন পেনশন কোনোভাবেই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নয়।
সেলিম রায়হান আরও বলেন, ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে (এনএসএসএস) উপকারভোগী নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ, দ্বৈততা দূর, অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের সুপারিশ ওঠে এসেছিল। এগুলো বাস্তবায়ন করলেও এ খাতের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর দ দ র র বর দ দ ড এসআর মন ত র প নশন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৩.৩ শতাংশ, কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা: বিশ্বব্যাংক
গত দুই দশকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সূচকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাবে বাংলাদেশ। এখানে বিনিয়োগও এখন এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন নিরাশার কথা শুনিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির সর্বশেষ পূর্বাভাস হচ্ছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে আগামী দুই অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এর মধ্যে ২০২৫–২৬ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও ২০২৬–২৭ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
বিশ্বব্যাংকের গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ বা ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও কাঁচামাল তথা মূলধনি পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়াকে এদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি বিনিয়োগে বাধা তৈরি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে এর আগে সর্বশেষ ২০১৯–২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশের নিচে নেমেছিল। সেবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। তখন প্রবৃদ্ধি কমার মূল কারণ ছিল কোভিড–১৯ মহামারির প্রকোপ। সেই অস্বাভাবিক অর্থবছরটি বাদ দিলে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০০১–০২ অর্থবছর, ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলধনি পণ্যের আমদানি হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের শিল্পোৎপাদনে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। কয়েক দফা সুদের হার বাড়ানো হলেও মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে আসেনি।
বহুজাতিক সংস্থাটির মতে, বিশ্বজুড়ে নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়লেও বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রবাহ আবারও জোরালো হতে পারে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও ব্যবসাবান্ধব সংস্কার কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নকে অন্যতম শর্ত হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় গড় মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমেছে। বেশির ভাগ দেশে সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই রয়েছে। এর ফলে নীতি সুদহার কমানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভারতে গত ২০২৩ সালের শুরু থেকে অপরিবর্তিত থাকা সুদের হারও চলতি ২০২৫ সালের শুরুতে কমানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, ভুটান ও নেপালে উন্নয়ন ব্যয় বাড়বে। বাংলাদেশে এই খাতে ব্যয় কমতে পারে। চলতি ব্যয় ও ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া হবে।
যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এরই মধ্যে জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছর শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এই অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। একই সময়ে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়লেও সেবা খাতে কমবে।
মাথাপিছু আয় বাড়বে দক্ষিণ এশিয়ায়গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে স্থির থাকতে পারে, যা এই অঞ্চলে দারিদ্র্য আরও কমাতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া ভারতের মতো বড় অর্থনীতির দেশকে বাদ দিলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে হবে ২ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২৭ সালে বেড়ে ৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার করোনা–পূর্ব দশকের চেয়ে কম থাকবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। অর্থাৎ এসব দেশে দারিদ্র্য কমার গতি আগের চেয়ে ধীর হতে পারে। আফগানিস্তানে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বিস্তৃত আকারেই থেকে যাবে। সেখানে বৈদেশিক সাহায্য কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে। তবে পর্যটন খাতে বড় ধরনের আয় হওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে ভারতে চলতি বছরের এপ্রিলে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি বেড়েছে। কারণ, সে সময় দেশটিতে জ্বালানি তেল আমদানি দ্রুত বাড়লেও রপ্তানি ততটা বাড়েনি।
পাকিস্তানেও এপ্রিলে পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ ছিল রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে, এপ্রিলের শুরুতে পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক বাড়ানোর পদক্ষেপ। এতে পাকিস্তানের রপ্তানিতে সরাসরি প্রভাব পড়েছে।
নেপাল–ভুটানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বেআগামী অর্থবছরগুলোয় নেপাল ও ভুটানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির হিসাবে, নেপাল আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। নেপালের হাইড্রো পাওয়ার উৎপাদনে অগ্রগতির ফলে শিল্পোৎপাদন বাড়বে। ফলে ভারতসহ নেপালের প্রতিবেশী দেশগুলোয় বিদ্যুৎ রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
অন্যদিকে ভুটানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে ২০২৫–২৬ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে উঠতে পারে, যা জানুয়ারির পূর্বাভাসের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি। এর পেছনে মূল চালিকাশক্তি হবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা ও নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। এটি দেশটির বিনিয়োগ ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।