নিষ্ঠুর সময় পার করেছেন ব্রাজিলের ২৫ বছর বয়সী সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার অ্যালেক্সসান্দ্রো রিবেইরো। শৈশবে বোতল কুড়িয়ে পেট চালাতে হয়েছে তাকে। ফ্লামেঙ্গো একাডেমিতে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বন্ধু ছিলেন তিনি। যদিও ব্রাজিলের কোন ক্লাব পরবর্তীতে তাকে দলে নিতে রাজি হয়নি। প্রায় দেড় বছর ক্লাবহীন থাকার পর পর্তুগালের তৃতীয় বিভাগের দলে যোগ দেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় বিভাগ হয়ে ফ্রান্সের ক্লাব লিলিতে আসেন তিনি।
এরপর জহুরি কার্লো আনচেলত্তির নজরে পড়ে ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে রিবেইরোর। সেখানে নির্ভার ও দাপুটে পারফরম্যান্স দিয়েছেন দীর্ঘদেহি এই ডিফেন্ডার। এতেই তার ওপর চোখ পড়েছে ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু ক্লাবের।
সংবাদ মাধ্যম মেট্রো ইউকে দাবি করেছে, প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট আর্সেনাল রিবেইরোর বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। প্যারাগুয়ে ম্যাচে তাকে দেখার জন্য স্কাউট পাঠিয়েছিল গানাররা। ওই ম্যাচে নিঁখুত পারফরম্যান্স দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
ভক্তরা ব্রাজিল জাতীয় দলে এখন গ্যাব্রিয়েল মাঘালহায়েস ও রিবেইরো জুটি দেখতে চান। আর্সেনালও একই চিন্তা করছে। মাঘালহায়েসের সঙ্গে রিবেইরোর জুটি গড়তে লিলির সঙ্গে যোগাযোগও করছে ক্লাবটি। যদিও রিবেইরোকে নিয়ে কিছুটা ভিন্ন পরিকল্পনা আর্সেনালের। মাঘালহায়েস ও উইলিয়াম সালিবার বিকল্প ডিফেন্ডার হিসেবে তাকে দলে রাখতে চান মিকেল আর্তেতা। সালিবা আগামী মৌসুমে আর্সেনাল ছাড়তে পারেন। তখন রিবেইরো হবেন দলটির মেইন ডিফেন্ডার।
আর্সেনাল ছাড়া সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ইতালির লিগ শিরোপা জয়ী দল নাপোলি রিবেইরোর ওপর নজর রাখছে। দলটির কোচ অ্যান্তোনি কন্তে আগামী মৌসুমে লিগ শিরোপা ধরে রাখার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। এরই মধ্যে ডি ব্রুইনি নাপোলিতে যোগ দিয়েছেন। এখন রিবেইরোর মতো একজন ডিফেন্ডার চায় দলটি।
রিবেইরোর দামও তুলনামূলক কম। তাকে ২০২২ সালে মাত্র ২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছিল লিলি। বর্তমান তার বাজারদর ১৮ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি। যদিও ওই দামে লিলি এখন তাকে ছাড়বে কিনা তা বলা কঠিন। দলবদল প্রসঙ্গে রিবেইরো সম্প্রতি বলেছেন, ওই সিদ্ধান্ত তিনি নন নেবেন তার বর্তমান ক্লাব লিলির সভাপতি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল আর স ন ল আর স ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়াই শান্তদের লঙ্কাযাত্রা
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসরে নিজেদের প্রথম সিরিজ খেলার জন্য কাল শ্রীলঙ্কা যাবেন শান্তরা। গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
লঙ্কার কন্ডিশন মাথায় রেখে প্রস্তুতির ভেন্যু নির্বাচন না করা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ না খেলা সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলেছে। অথচ ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ চাইলেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টাইগার্স বা এইচপির সঙ্গে চার বা তিন দিনের একটি ম্যাচ খেললে ভালো হতো বলে মনে করেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
দক্ষিণ আফ্রিকা হাইপারফরম্যান্স দলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স দল। নান্নু মনে করেন, ‘এইচপি বা টাইগার্সের সঙ্গে তিন দিনের একটি ম্যাচ খেললে ভালো হতো। ওখানে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকত ‘ম্যাচ সিনারিও’ অনুশীলে তা থাকে না। এইচপির সঙ্গে ম্যাচ হলে উভয় দলের খেলোয়াড়রা জেতার জন্য মরিয়া হয়ে খেলত। ছোটদের কাছে হার এড়াতে একাগ্র থাকত জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। এভাবে কেন চিন্তা করেনি বা সুযোগ নেয়নি, জানি না।’
কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ দলের বিদেশ সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চল উঠে গেছে। ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোথাও লাল বলের প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল না টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলার আগে কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ রাখেনি। ঈদ পালনের পর দেরি করে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকার পরিবর্তে গলে বা কলম্বোয়ও অনুশীলনের সুযোগ নেয়নি বিসিবি। সেদিক থেকে স্বদেশি কোনো দলের সঙ্গে একটি চার দিনের ম্যাচ খেলা গেলে ভালো হতো বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।