তেহরান সংলাপের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। তবে ওয়াশিংটনকে আর বিশ্বাস করেন না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই। আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইরানের ওপর সম্ভাব্য হামলার জন্য আরব দেশগুলো তাদের ভূখণ্ড যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

বাঘাই এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। ইরানে সরাসরি হামলা করার বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গভীরভাবে বিবেচনা করছেন বলেও ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। গত তিন দিনে ৩০টির বেশি যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের বিভিন্ন ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে পাঠানো হয়েছে একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী। এ অবস্থায় আরব দেশগুলোকেও সতর্ক করে যাচ্ছে তেহরান। তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইরানে কোনো ধরনের হামলা হলে তাদেরও ভুগতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আরব দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা নিশ্চিত, মার্কিন ঘাঁটি থাকা আরব দেশগুলো তাদের ভূখণ্ড মুসলিম প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে দেবে না। 

দেশটির এ কূটনীতিক সতর্ক করেন, যে কোনো মার্কিন হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সূত্রপাত করবে। 

ইসমাইল বাঘাই বলেন, তেহরান সংলাপের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও তারা ওয়াশিংটনকে আর বিশ্বাস করে না। ইরান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ