করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনসুর রহমান (৬৫) নামের এক রোগী বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের বাথরুমে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যান। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি হার্ট এটাকে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা.

আমিনুল ইসলাম কটন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা মনসুর রহমান অসুস্থ হয়ে গত ৯ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। অসুস্থতার লক্ষণ দেখে তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে করোনা ধরা পড়ে। এরপর ১৬ জুন তাকে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। তার শ্বাসকষ্ট ছিল, অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছিল। তবে তার শারিরিক অবস্থা খুব একটা খারাপ ছিলো না, বরং উন্নতিই হচ্ছিলো।

তিনি আরও বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যান বাথরুমে। এরকম রোগীকে আমরা বাথরুমের দরজা বন্ধ না করার জন্যই বলি। কিন্তু তিনি দরজা লাগিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পরই তিনি বাথরুমে পড়ে গেলে পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করেন। কোন সাড়া না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে দরজা ভেঙে মনসুর রহমানকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে তিনি মারা যান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

ত্রাণ নিতে গিয়ে চোখে গুলি খেল ফিলিস্তিনি শিশুটি

আবদুল রহমান আবু জাজারের বয়স ১৫ বছর। ক্ষুধায় কাতর পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবারের সন্ধানে বেরিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু কপাল মন্দ। চোখে গুলি খেয়ে ফিরতে হয়েছে জাজারকে। ঘটনাটি ঘটেছে ফিলিস্তিনের গাজা নগরীতে। জাজারের বাঁ চোখে গুলি করেছেন ইসরায়েলি সেনারা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত জিএইচএফ ত্রাণকেন্দ্রে গিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ জাজারের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, নির্বিচার বোমা হামলার শিকার অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা অনাহারে রয়েছেন।

আরও পড়ুননিরস্ত্রীকরণে সম্মতির খবর নাকচ: হামাস বলল, দখলদারির মোকাবিলা জাতীয় ও আইনি অধিকার০৩ আগস্ট ২০২৫

বাঁ চোখে সাদা রঙের ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা জাজার আল-জাজিরাকে জানায়, একবার গুলি লাগার পরও ইসরায়েলি সেনারা তাঁকে লক্ষ্য করে অনবরত গুলি ছুড়তে থাকেন। তখন জাজারের মনে হয়েছিল, ‘এই বুঝি শেষ। মৃত্যু সন্নিকটে।’

দিবাগত রাত প্রায় দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বলে জানায় জাজার। সে বলে, ‘এবার প্রথম আমি ত্রাণ সরবরাহকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। আমার ও ভাইবোনদের খাওয়ার মতো কিছু ছিল না। আমরা খাওয়ার জন্য কিছুই পাইনি। তাই সেখানে গিয়েছিলাম।’

অনেক ভিড়ের মধ্যে গাজা নগরীর আল-মুনতাজাহ পার্কের ওই কেন্দ্রে পৌঁছাতে জাজারের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। জাজার বলে, ‘আমরা দৌড়াচ্ছিলাম। ঠিক তখন ওরা (ইসরায়েলি সেনারা) গুলি করা শুরু করে। আমি আরও তিনজনের সঙ্গে ছিলাম। তিনজন আহত হই।’

আরও পড়ুনসিডনির হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনের পক্ষে ইতিহাসের বৃহত্তম মিছিল, অংশ নেন বাংলাদেশিরাও১৫ ঘণ্টা আগে

জাজার আরও বলে, ‘গুলি চালানোর পরপরই শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো কিছু অনুভব করলাম। এরপর আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, জ্ঞান হারাই। জ্ঞান ফেরার পর আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করেছি, আমি কোথায়?’

তখন আশপাশের লোকজন জাজারকে জানান, সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। জাজার আরও বলে, ‘ওরা অনবরত গুলি ছুড়ছিল। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। দোয়া পড়ছিলাম।’

জাজারের চোখে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। তবে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে শিশুটি বলে, ‘আশা করি, আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে।’

আরও পড়ুনখেলাধুলায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ ফিলিস্তিনি কিশোরকে মরতে হলো খাবারের অভাবে১৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ