নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙা গ্রামে মহাসড়কের পাশের জঙ্গল থেকে মিনহাজ হোসেন (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পাশেই পড়ে ছিল শিশুটির ব্যবহৃত বাইসাইকেল, যাতে রক্তের দাগ ছিল।

নিহত মিনহাজ মহিষভাঙা গ্রামের কাতারপ্রবাসী মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেল চারটার দিকে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় মিনহাজ। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে নিখোঁজের খবর জানানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়কের ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায় তার সাইকেলটি। সেখান থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরের জঙ্গলে পাওয়া যায় মিনহাজের মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিনহাজের বাবা মিলন হোসেন বলেন, ‘আমি কাতারে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছি। ছেলেটা সব সময় আমার কাছেই থাকত। গতকাল বিকেলে নিজের পছন্দের সাইকেল আর ফোন নিয়ে বের হয়েছিল। সন্ধ্যার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাত ১০টার দিকে ওর রক্তমাখা সাইকেল আর পরে মরদেহ পাওয়া গেল। কিন্তু ফোনটা এখনো পাওয়া যায়নি।’

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মুঠোফোনটি এখনো উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদ্‌ঘাটনে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনিক্যাল মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়ক বিভাজকের ওপরে, চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু

রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে আজ শুক্রবার দুপুরে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে গেলে এক পথচারী নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম আনিসুজ্জামন (১৮)। তিনি পেশায় দিনমজুর। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, বেলা পৌনে একটার দিকে মিরপুর বাঙলা কলেজের দিক থেকে এসবি সুপার ডিলাক্স পরিবহনের সাদা রঙের একটি বাস টেকনিক্যাল মোড়ের দিকে দ্রুতবেগে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়। এ সময় সড়ক বিভাজকের ওপর থাকা পথচারী আনিসুজ্জামানকে চাপা দেয় বাসটি। এতে আনিসুজ্জামান ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। দুর্ঘটনায় আরেকজন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। নিহত আনিসুজ্জামানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার চরশিবরামপুরে। তাঁর বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক।

ওসি সাজ্জাদ রোমন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এসবি সুপার ডিলাক্স বাস ও চালক বিল্লাল হোসেনকে (৪০) আটক করে। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেচুরায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ