যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাবি অধ্যাপকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 15th, November 2025 GMT
ছাত্রদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারাও।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে প্রক্টরের আশ্বাসে রাতে কর্মসূচি শেষ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দুই কার্যদিবসের মধ্যে এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের প্রতিবেদন দিতে হবে এবং তাঁকে চার কার্যদিবসের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। এ সময় তাঁরা রসায়ন বিভাগে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর করা যৌন নিপীড়নের মামলায় গত বৃহস্পতিবার অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার এই শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার সন্ধ্যায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেন, একজন অপরাধী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হয় এবং প্রমাণিত হয়, তখন দুটি জায়গা থেকে তার মৌলিক শাস্তি আসা উচিত। একটি হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আরেকটি রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই জায়গাতেই যথেষ্ট গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। শুধু গাফিলতি নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা বিষয়টি উপক্ষা করছে।
ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মাদ বলেন, ‘আপনারা জানেন অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করার পরে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জবাবদিহি করা। কিন্তু তাঁর রিমান্ডের আবেদনই করা হলো না। এটি একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁকে কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী শেল্টার দিচ্ছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করলে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এসে তাঁদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আসার পর রসায়ন বিভাগে দ্রুত একাডেমিক মিটিং করে গত বৃহস্পতিবার অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল থেকে তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়া-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিনের কর্মী ও সমর্থকেরা মানববন্ধন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দৌলতপুর থানা বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
দৌলতপুর থানার সামনে থেকে সেন্টার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন দৌলতপুর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলতাফ হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টি সরকার ও দৌলতপুর কৃষকদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতারা অভিযোগ করেন, সারা দেশে ঘোষিত বিএনপির প্রাথমিক ২৩৭টি মনোনয়নের মধ্যে দৌলতপুরে শরীফ উদ্দিন ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিকভাবে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টি সরকার বলেন, ঘোষিত প্রার্থী অতীতে ওয়ান ইলেভেন সরকারের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাকার বিনিময়ে ভোট কেনাবেচায় অংশ নেন। এ ছাড়া দৌলতপুরে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘঠিত লুটপাট, চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ নানা অপকর্মে তাঁর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণেই দৌলতপুরবাসী মনোনয়ন পরিবর্তন চায়।
বিএনপির নেতারা বলেন, বর্তমান প্রার্থীকে নিয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা ও অনাস্থা তৈরি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ আজকের এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন। এর আগেও কুষ্টিয়ার আরও তিনটি আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি হয়েছে। তবে শরীফ উদ্দিনের সমর্থকেরা অহিংস ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানববন্ধন করছেন, কোনো ভাঙচুর বা রাস্তা অবরোধে যাননি।