নারী ক্রিকেটে দল নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম, এনএসসির চিঠির জবাব দিল বিসিবি
Published: 15th, November 2025 GMT
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে ক্রিকেটার রিয়া আক্তার যে অভিযোগ করেছেন, প্রাপ্ত নথি-পত্রের পর্যালোচনা করে তার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) পাঠানো চিঠিতে বিসিবি লিখেছে, দল নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
আজ বিসিবির এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ সেপ্টেম্বর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে এনএসসিকে চিঠি দেন রিয়া আক্তার। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও ও নারী ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা জানতে চায় এনএসসি।
সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এনএসসি থেকে চিঠি পেলেও প্রায় দুই মাস পর জবাব দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিঠিটি এমন সময়ে এসেছিল যখন বিসিবির অধিকাংশ বিভাগ পরিচালনা-পর্ষদ নির্বাচনের কাজে ‘ব্যস্ত ছিল’ এবং কার্যক্রম দৈনন্দিন কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রীড়া ফেডারেশনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ এনএসসির
যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নীতিমালা অনুসারে সব ক্রীড়া ফেডারেশনে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। কমিটি গঠন করে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এনএসসির সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) রুহুল আমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ১৪ মে জারি করা ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার–সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০০৯’ অনুযায়ী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সব ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে কমপক্ষে তিনজন নারী সদস্যসহ পাঁচ সদস্যের একটি অভিযোগ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কমিটির মাধ্যমে কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগের প্রতিকার না পেলে বা অভিযোগের নিষ্পত্তিতে সন্তুষ্ট না হলে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছেও অভিযোগ করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) আমিনুল এহসান আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনএসসি মনে করে, এ উদ্যোগের ফলে নারী ক্রীড়াবিদেরা নিজেদের আরও সুরক্ষিত ভাবতে পারবেন এবং নিজেদের সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন।’
২০০৯ সালে উচ্চ আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি রোধে দিকনির্দেশনামূলক নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করার আদেশ দেন। তবে দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলোয় এ ধরনের কমিটি আজকের আগপর্যন্ত ছিল না। এ নিয়ে ১০ নভেম্বর প্রথম আলোয় ‘ক্রীড়াঙ্গনে যৌন হয়রানি: হাইকোর্টের নীতিমালা মানছে না ফেডারেশনগুলো’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুনক্রীড়াঙ্গনে যৌন হয়রানি: হাইকোর্টের নীতিমালা মানছে না ফেডারেশনগুলো১০ নভেম্বর ২০২৫প্রতিবেদনে উঠে আসে, ক্রিকেট ও ফুটবলের মতো বড় ফেডারেশনসহ দেশের ৫৩টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের কোনোটিতেই ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ নেই। তাদের গঠনতন্ত্রেও এ বিষয়ে কোনো কিছুর উল্লেখ নেই।
সম্প্রতি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার পর বিসিবি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে ক্রীড়াঙ্গনে যৌন হয়রানির অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
আরও পড়ুনখেলার নামে মানব পাচার ঠেকাতে তৎপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ৩১ অক্টোবর ২০২৫