কুমিল্লায় মা ও দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা: ২৪ ঘণ্টাতেও মামলা হয়নি
Published: 4th, July 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন ডেকে এনে মা ও তার দুই সন্তানকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো থানায় মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের লোকজনকে ঘটনার পর থেকে খোঁজা হচ্ছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বাঙরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আজ হয়ত ওই পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করবেন। নিহত রাসেলের স্ত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি আজ মামলা করবেন। কেউ না এলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
এদিকে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে মোবাইল ফোন ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে মা ও তার দুই সন্তান পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী।
নিহতরা হলেন—ওই গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে ছেলে মো.
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে রুবির জামাতা মনির হোসেনের সহযোগী মারুফ স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রুহুল আমিনের একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া এবং আকাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল রুবিকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল এবং ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে এলাকার শতাধিক লোক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে গণপিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রুবি, তার ছেলে রাসেল এবং মেয়ে জোনাকি নিহত হন। আহত হন রুমা আক্তার।
ঢাকা/রুবেল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ডের সংকট কাটবে কবে
ঢাকার মেট্রোরেলে স্থায়ী কার্ড নিয়ে সংকট চলছে। নিয়মিত যাতায়াতের জন্য স্থায়ী কার্ড করতে চাইলেও অনেকে তা পাচ্ছে না। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা এই সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তাতে সংকট মোচনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। স্থায়ী কার্ড কেনা এবং নিয়ন্ত্রণ কোন প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকবে, এ নিয়ে টানাটানি চলেছে গত এক বছর।