শাপলা তুলতে গিয়ে ডোবায় ভাই-বোনের মৃত্যু
Published: 4th, July 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ভাই-বোনের মরদেহ ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে পৌর শহরের ভাদুঘর খাদেমের মাঠ (শান্তিনগর) এলাকার ডোবা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) থেকে তারা নিখোঁজ ছিল।
মারা যাওয়ারা হলো- হোসাইন (১১) ও তার বোন জিন্নাত (৮)। তারা পৌর শহরের ভাদুঘর খাদেমের মাঠ (শান্তিনগর) এলাকার আক্কাস মিয়ার সন্তান।
আরো পড়ুন:
‘নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম মাঠে নামছে’
এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেল ২ জনই
পরিবারের লোকজন জানায়, খাদেমের মাঠের (শান্তিনগর) পাশে একটি ডোবা থেকে প্রায়ই শাপলা ফুল তুলতে যেতো হোসাইন ও জিন্নাত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও শাপলা ফুল তোলার কথা বলে তারা বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তারা বাড়িতে ফেরেনি।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে ডোবাতে ভাই-বোনের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখে তাদের আরেক ভাই। পরে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো.
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এ. কে. আজাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনায় গণতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা
ফরিদপুরে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের বাড়িতে স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীর চড়াও হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের পটিয়া ও লালমনিরহাটের পাটগ্রামে রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে ‘মব সন্ত্রাস’ এবং পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, এসব হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, ‘মব সন্ত্রাসে’ জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যেভাবে এ. কে. আজাদের বাড়িতে স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীর চড়াও হয়েছে, তা আওয়ামী শাসনামলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার পুনরাবৃত্তি মনে করিয়ে দেয়। ২০২৪ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’
সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ আগস্টের ঘটনার পর ‘মব সন্ত্রাস’ রোধে সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং কোথাও কোথাও সরকারি মদদের অভিযোগও উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক।
এতে বলা হয়, সরকার ‘মব সন্ত্রাসের’ লাগাম এখনই না টানলে এর দায় সম্পূর্ণভাবে তাদেরই নিতে হবে।
অবিলম্বে পটিয়া ও পাটগ্রাম থানার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে।