ভয়, আতঙ্ক আর ক্ষোভ নিয়ে সোহাগের দাফন বরগুনায়
Published: 12th, July 2025 GMT
ঢাকায় চাঁদা না দেওয়ায় পাথরের আঘাতে নিহত ব্যবসায়ী সোহাগের দাফন হয়েছে নিজ জেলা বরগুনায়। ভয়, আতঙ্ক আর ক্ষোভ নিয়ে খানিকটা গোপনেই দাফন হয়েছে সোহাগের।
গতকার শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে তড়িঘড়ি করে ছোট পরিসরে জানাজা নামাজ শেষে তার নানাবাড়ি বরগুনা সদরের ইসলামপুর এলাকায়।
এর আগে ওই দিন সকাল ৯টার দিকে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের মৃতদেহ নিয়ে আসেন স্বজনরা।
এদিকে নিহত সোহাগের পরিবারে বইছে শোকের মাতম। স্বজনদের দাবি, হত্যাকারীরা মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলো সোহাগের কাছে। এদিকে মামলায় হত্যাকারীদের বাদ দিয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি করে স্বাক্ষর নিয়েছে বাদীর।
বাবা সোহাগের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকারে ভয়, আতঙ্ক ও ক্ষোভ নিয়ে অঝোরে কাঁদছে মেয়ে সোহানা (১৪) ও ছেলে সোহান (৮)। বাবাকে হারিয়ে শোক সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে তারা।
সোহাগের মেয়ে সোহানা রাইজিংবিডিকে বলেন, “চাঁদা না দেওয়ায় আমার বাবাকে পাথর দিয়ে মেরে হত্যা করেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা। আমাদের সাজানো গোছানো পরিবারটা শেষ করে দিয়েছে।”
সোহাগের ভাগ্নি বিথি বলেন, “মামা আর আমরা ঢাকায় থাকতাম। বাকি সবাই বরগুনায়। আমার মামা প্রথমে কর্মচারী ছিল। গত পাঁচ বছর ধরে নিজেই ভাঙ্গারি ব্যবসা শুরু করেন। কয়েকমাস আগে থেকে মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া শুরু করে মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সোহাগকে আটকে রেখে দফায় দফায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। আমরা তার মৃতদেহ নিয়ে এসে গোপনে দাফন করেছি। কারণ হত্যাকারীরা একটি দলের নেতা। তাদের দলের লোক এখানেও আছে।”
এদিকে এই ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ নিহত সোহাগের স্বজনদের।
মামলার বাদী মঞ্জুয়ারা বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, “মামলা দায়েরের সময় আমি যে কপি থানায় দিয়েছি সেটি বাদ দিয়ে সুকৌশলে এজাহার হিসেবে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে অন্য আরেকটি কপিতে। তাতে প্রথম কপিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৭, ১৮ এবং ১৯ নম্বর আসামির নাম বাদ দিয়ে হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত নয়, এমন অনেককে আসামি করা হয়েছে।”
তবে, এ অভিযোগের বিষয়ে ঢাকার কোতয়ালী থানার ওসির মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থেকে মনির হোসেন ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০। এর আগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিন ও সবশেষ মো.
ঢাকা/ইমরান/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ক বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্তের দাবি
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যের একজন নার্গিস আক্তার বলে দাবি করেছেন বোন পরিচয় দেওয়া মৌসুমি। তাঁর দাবি, পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্ত করেছেন তিনি।
আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন মৌসুমি।
গতকাল মঙ্গলবার শিয়ালবাড়ির একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো গতকাল সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনমিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের১ ঘণ্টা আগেমৌসুমি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন নার্গিস (১৯) মাত্র ১৫ দিন আগে চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। নার্গিস কোনো মুঠোফোন ব্যবহার করতেন না। কারখানাটির লাইনম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।
মৌসুমি বলেন, পায়ে থাকা নূপুর দেখে তিনি তাঁর বোনের লাশ চিনতে পেরেছেন।
মৌসুমি জানান, তাঁদের বাবার নাম ওয়াজিউল্লাহ। তিনি ফলের আড়তে কাজ করেন।
মর্গের সামনে জড়ো হওয়া ভুক্তভোগী স্বজনদের একজন ফাতেমা বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪) চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজ করতেন। মেয়ের লাশ দেখে তিনি চিনতে পেরেছেন।
ফাতেমা বেগম (বাঁয়ে) বলছেন, তাঁর মেয়ের নাম মাহিরা আক্তার। তাঁর লাশ শনাক্ত করতে পেরেছেন তিনি। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের সামনে