লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় ২ ভাই গ্রেপ্তার
Published: 23rd, July 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা কাউছার আহমদ মিলনকে (৫৫) হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার আদিলপুর গ্রামের মো.
আরো পড়ুন:
আনোয়ারুল হত্যা: ২৩ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
টাঙ্গাইলে পৃথক হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাউছারদের সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরোধ ছিল। এর জেরে, গত ৫ জুন অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যায়।
এ সময় তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা দুই ভাইকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্তরা হাসপাতালে গিয়েও ভুক্তভোগীদের হত্যার হুমকি দেন। এতে ভয়ে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় কাউছারের অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।