ভুল ট্রেনে টাঙ্গাইলে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ৩
Published: 26th, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন এক তরুণী (২৩)। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন চট্টগ্রাম নয়, ভুলে দিনাজপুরগামী ট্রেনে উঠেছেন। তাই টাঙ্গাইল স্টেশনে নেমে পড়েন। সেখানে তিন বখাটের খপ্পরে পড়ে যান তিনি। ঢাকাগামী বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রামে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাস (২৮), সজীব খান (১৯) ও রুপু মিয়া (২৭)। গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী তরুণী তাঁদের শনাক্ত করেছেন।
বিকেল পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনজনই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে পারেন।
ওসি তানবীর আহম্মদ জানান, চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ওই তরুণী ট্রেনে ওঠেন। তারপর ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর জেগে এক যাত্রীর কাছে কোন জায়গা পর্যন্ত এসেছেন, জানতে চান। তখন তিনি জানান, টাঙ্গাইলের কাছাকাছি এসেছেন। পরে তরুণী বুঝতে পারেন তিনি ভুলে দিনাজপুরগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছেন। রাত ১২টার পর ট্রেনটি টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছালে তিনি নেমে পড়েন। গভীর রাতে সেখানে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করার সময় গ্রেপ্তার তিনজন স্টেশনে আসেন। তাঁরা তরুণীকে ঢাকাগামী বাসে উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ছেড়ে দিলে তরুণী স্টেশনে চলে আসেন। ভোরে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ঘটনা জানান। সদর থানা-পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ সকালে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।