টাঙ্গাইলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অভিযুক্ত ৩ জনের স্বীকারোক্তি
Published: 26th, July 2025 GMT
টাঙ্গাইলে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে পৃথকভাবে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন তারা।
জবানবন্দি শেষে রাত ৯টার দিকে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া সিরাজাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজীব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া ওরফে নুপুর (২৭)।
এর আগে, সকালে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতারপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
পুলিশের বিরুদ্ধে সিজুকে হত্যার অভিযোগ, এসপির কার্যালয় ঘেরাও
পাবনায় সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু, ১৫ বাড়িতে আগুন
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে এক তরুণী চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ট্রেনে উঠেন। কিন্তু, ভুল করে তিনি উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে উঠে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পারলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নামেন ওই তরুণী। স্টেশনে নেমে বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানান।
জিআরপি পুলিশ দুলাল নামের এক অটোরিকশাচালককে ওই তরুণীকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু, দুলাল ওই তরুণীকে ট্রেনে না উঠিয়ে দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে অপর দুজন তাকে ধর্ষণ করে স্টেশনে ফেলে পালিয়ে যান।
ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশীদ বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পর আমরা থানা পুলিশকে অবগত করি। পরে পুলিশ আমাদের সহযোগিতায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।’’
টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, ‘‘এ ঘটনায় দুপুরে ভুক্তভোগী তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।’’
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তর ণ ক নবন দ
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ