প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চিলির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের বেশিরভাগ অংশের জন্য সুনামির সতর্কতা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। দেশটির ইস্টার দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ অঞ্চলে সরে যেতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ কলম্বিয়া তার উত্তর-পূর্ব চোকো এবং নারিনো অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করেছে। পেরু তার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে।

মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৯৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।

ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত ফরাসি পলিনেশিয়ার মারকুইসাস দ্বীপপুঞ্জে সুনামির ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ ঢেউয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৩ থেকে ৮ ফুট উঁচু পর্যন্ত ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং ভানুয়াতুতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ব পপ ঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ

দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।

শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।

প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ